উত্তরপ্রদেশ: ঘুমের জেরে যে এমন মর্মান্তিক মৃত্যু হবে তা কল্পনাও করতে পারেননি। নিশ্চিন্তের ঘুম থেকে চিরঘুমের দেশে চলে গেলেন মুহূর্তের ভুলে। গাছের তলায় নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন ৪৫ বছরের এক যুবক। হঠাৎ তাঁর উপরেই হুড়মুড়িয়ে পড়ল আর্বজনার স্তূপ। সেই কাদা-আবর্জনায় চাপা পড়ে, দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হল যুবকের। 

শনিবার পুলিশ জানিয়েছে, বরেলির বড়দারি এলাকায় একটি কবরস্থানের কাছে একটি গাছের নীচে ঘুমাচ্ছিলেন এক সবজি বিক্রেতা। তার উপর কাদার স্তূপ ফেলে দেওয়ার পরে তাকে জীবন্ত কবর দেওয়া হয়েছিল। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে এক পুরকর্মীর ভুলেই। 

পিটিআই সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ জানিয়েছে, সুনীল কুমার প্রজাপতি পেশায় একজন সবজি বিক্রেতা ছিলেন। বাড়ির অদূরে একটি গাছের তলায় সেদিন ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। হঠাৎ এক পুরকর্মী ট্রাক ভর্তি পাঁক-কাদা সুনীলের উপর ফেলে দিয়ে চলে যান। সেই আর্বজনার তলায় দীর্ঘদিন চাপা পড়ে প্রাণ হারান সুনীল। 

পুলিশ জানিয়েছে, শান্তিপুরের বাসিন্দা সুনীল কুমার প্রজাপতি (৪৫), যিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলে অভিযোগ, বৃহস্পতিবার বিকেলে তার বাড়ির কাছে একটি গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন, ঠিক সেই সময় নইমের নেতৃত্বে পৌর কর্মীদের একটি দল কাদা ভর্তি একটি ট্র্যাক্টর-ট্রলি তার উপর ঢেলে দেয়।

কিছুক্ষণ পরেই পরিবারের সদস্যরা সুনীলের খোঁজ শুরু করেন। ওই গাড়ির কাছে পৌঁছে ছেলে দেখেন, আর্বজনার মধ্যে দিয়ে বেরিয়ে রয়েছে সুনীলের পা। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রজাপতিকে দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পৌর কমিশনার সঞ্জীব কুমার মৌর্য বলেছেন, বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ জারি করা হয়েছে।                                                  

এই ঘটনার পর ওই পুরকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার। গাছের নীচে জলজ্যান্ত মানুষকে না দেখেই আর্বজনার স্তূপ ফেলার অভিযোগ জানিয়েছেন ওই পুরকর্মীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।