লখনউ: প্রবাদ রয়েছে- 'চুরি বিদ্য়া মহাবিদ্যা, যদি না পড়ো ধরা'। এই নিশিকুটুম্বের বোধহয় সেই প্রবাদের কথা মনে ছিল না। সেই কারণেই ধরা পড়ে গেলেন। তবে তার জন্য দায়ী ছিল তাঁর মাদকের প্রতি আসক্তি। IANS-এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। উত্তরপ্রদেশের লখনউতে চুরি করতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল এক চোর। সকাল হলেও ঘুম ভাঙেনি তার। আর সেই 'ভুলে'ই পুলিশের হাতে ধরা পড়ল চোর।   


লখনউ-এর সেক্টর ২০-এর ইন্দিরা নগরের ঘটনা। ওই এলাকা ঘাজিপুর থানার অন্তর্গত। IANS-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই এলাকায় এক চিকিৎসকের বাড়িতে চুরি করতে ঢুকেছিল এক চোর। বাড়ি ফাঁকাই ছিল। কিন্তু তারপরেও পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেল চোর। কেন? রিপোর্টে অনুযায়ী, নেশার চুর হওয়ায় চুরি করতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল ওই চোর। সেই কারণেই তার আর চুরি করা হয়ে ওঠেনি। যখন ঘুম ভেঙে তখন সে দেখে তার চারপাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে পুলিশ।


ওই বাড়িটি চিকিৎসক সুনীল পান্ডের। তিনি এখন বারাণসীতে রয়েছেন। তাই ইন্দিরা নগরের ওই বাড়িটি ফাঁকা পড়ে রয়েছে। সেখানেই হানা দিয়েছিল চোর। রাতে পড়শিরা খেয়াল করেননি। সকালে হাট করে দরজা খোলা দেখে সন্দেহ হয় পড়শিদের। ভিতের উঁকি মেরে তাঁরা দেখেন ইতিউতি নানা জিনিসপত্র ছড়িয়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে ডাকা হয়। ঘাজিপুর থানা থেকে আসে পুলিশ। তারা এসে দেখে ঘুমিয়ে রয়েছে ওই চোর। তাকে জাগিয়ে গ্রেফতার করে পুলিশ। IANS-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঘাজিপুর থানার স্টেশন হাউস অফিসার জানিয়েছেন, গ্রেফতারির পরে বাকি আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।


পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ওই চোর বাড়ির পাম্প খোলার চেষ্টা করেছিল, বাড়িতে রাখা ব্যাটারিও চুরি করতে গিয়েছিল। কিন্তু নেশা করে থাকায় ওই জায়গায় ওই অবস্থাতেই সে ঘুমিয়ে পড়ে। বাড়ির আলমারি ভাঙা ছিল, নগদ নিয়ে নিয়েছিল ওই অপরাধী। বাড়ির বেসিন, গ্যাস সিলিন্ডারও চুরির চেষ্টা করেছিল ওই চোর। পুলিশের তরফেই জানানো হয়েছে, তারা সন্দেহ করছে যে আগে থেকেই নেশা করে থাকায় চুরির মাঝেই ঘুমিয়ে পড়ে চোর।  


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: লাফ সেনসেক্সে, ঊর্ধ্বগতি নিফটিতেও! আজ কোন কোন স্টকে রকেটগতি?