মুম্বই: মহারাষ্ট্রের জঙ্গল থেকে শিকলবন্দি অবস্থায় উদ্ধার বিদেশিনী। আমেরিকার বাসিন্দা ওই মহিলা। বিয়ে করেছিলেন ভারতীয়কে। স্বামীই তাঁকে জঙ্গলে বেঁধে রেখে যান বলে অভিযোগ। ওই মহিলাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর। (Viral News)
পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন পেটে কিছু পড়েনি ওই মহিলার। বৃষ্টিতে জঙ্গলে ভিজতেও হয়েছে একটানা। শারীরিক ভাবে অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছেন। মানসিক ভাবেও অসুস্থ তিনি। তাই বয়ান রেকর্ড করতে গেলেও, তা সম্ভব হয়নি। আপাতত চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন ওই মহিলা। তাঁর আত্মীয়স্বজনদের খোঁজ মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। (US Woman Chained)
মুম্বই থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দূরে, শনিবার মহারাষ্ট্রের সিন্ধুদুর্গ জেলার জঙ্গল থেকে শীর্ণকায় এক মহিলাকে শিকলবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ওই মহিলার নাম ললিতা কায়ি কুমার বলে জানা গিয়েছে। বয়স ৫০ বছর। জঙ্গলের মধ্যে কান্নার শব্দ শুনে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। সেই মতো ওই মহিলাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই মহিলার কাছ থেকে আমেরিকার পাসপোর্ট, তামিলনাড়ুর একটি ঠিকানা দেওয়া আধার কার্ড এবং অন্য নথিপত্র মিলেছে। পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই মহিলা বয়ান দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই। অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছেন। বেশ কিছু দিন পেটে কিছু পড়েনি। বৃষ্টির মধ্যে জঙ্গলে থেকে অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। তবে কিছু কথা কাগজে লিখে জানিয়েছেন তিনি।
ওই মহিলাকে জঙ্গল থেকে উদ্ধারের পর প্রথমে কোঙ্কনের সাওয়ন্তওয়াড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পরে স্থানান্তরিত করা হয় সিন্ধুদুর্গের ওরোস হাসপাতালে। এই মুহূর্তে গোয়া মেডিক্য়াল কলেজে ভর্তি রয়েছেন তিনি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই মহিলা মানসিক এবং শারীরিক ভাবে অসুস্থ। তাঁর কাছ থেকে ওষুষের একটি প্রেসক্রিপশনও পাওয়া গিয়েছে বলে খবর।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, গত ১০ বছর ধরে ভারতে রয়েছেন ওই মহিলা তামিলনাড়ু, গোয়া এবং অন্যত্র টিম পাঠানো হয়েছে, যাতে তাঁর সম্পর্কে বিশদ তথ্য পাওয়া যায়। পুলিশ জানিয়েছে, লিখিত বয়ানে ওই মহিলা জানিয়েছেন, স্বামীই তাঁকে জঙ্গলে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে গিয়েছেন। সেই নিরিখে মহিলার স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঠিক কী ঘটেছিল, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।