ভোপাল: বড়দিনে সান্তার পোশাকে খাবার পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন। সেই অবস্থায় অনলাইন খাবার সরবরাহকারী সংস্থার ডেলিভারি এজেন্টকে হেনস্থার অভিযোগ। বড়দিনে সান্তা সাজা নিয়ে হেনস্থা। হিন্দুদের উৎসবে কেন গেরুয়া বস্ত্র পরিধান করেন না, ধেয়ে এল প্রশ্ন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ভিডিও-ও সামনে এসেছে, যা ভাইরাল হয়ে গিয়েছে মুহূর্তের মধ্যে। (Delivery Agent Harassed in MP)


মধ্যপ্রদেশের ইন্দৌরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। অনলাইন খাবার সরবরাহকারী সংস্থার এক ডেলিভারি এজেন্ট নিজের গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেন। বড়দিন উপলক্ষে তাঁর পরনে ছিল সান্তাক্লজের পোশাক। তাঁকে ওই পোশাকে দেখে না কি রুষ্ট হন 'হিন্দু জাগরণ মঞ্চে'র কিছু লোকজন। রাস্তায় তাঁকে ওই পোশাক খুলতে বাধ্য করা হয় বলেও অভিযোগ। (Viral News)


ঘটনাস্থল থেকে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে ওই ডেলিভারি এজেন্টের মোটর সাইকেল আটকানো হয় প্রথমে। কেন সান্তাক্লজের পোশাক পরেছেন জানতে চাওয়া হয়। এর পর মোটরসাইকেল থেকে নেমে আসতে বাধ্য করা হয় তাঁকে। তার পর সান্তার পোশাক খুলতে বলা হয়। এক এক করে টুপি, জামা খুলে রাখলে, নীচের প্যান্টও খুলতে বলা হয় তাঁকে। কিছু বলতে গেলেও, বাধা দেওয়া হয় তাঁকে। পোশাক খোলা হলে রব ওঠে 'জয় শ্রী রাম'।



ভিডিও-য় যে কথোপকথন ধরা পড়েছে, তাতে ডেলিভারি এজেন্টকে কার্যত ধমকাতে শোনা গিয়েছে। এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, "ভগবান রাম সেজে কখনও কারও বাড়ি গিয়েছেন?" উত্তরে ওই ডেলিভারি এজেন্ট বলেন, "না, কিন্তু কোম্পানি আমাকে এই পোশাক পরতে বলেছে।" এর পর তাঁকে পোশাক খোলানো হয়। 



'হিন্দু জাগরণ মঞ্চে'র জেলার আহ্বায়ক সুমিত হরদিয়াকে শনাক্ত করা গিয়েছে ভিডিও দেখে। তাঁর প্রশ্ন ছিল, হিন্দুদের এলাকায় খাবার সরবরাহ করতে কেন সান্তার পোশাক? অহিন্দু উৎসবের এত উদযাপন কেন প্রশ্ন তোলেন তিনি। কেন ওই ডেলিভারি এজেন্টকে হেনস্থা করা হল, সেই নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেন সুমিত। তাঁর যুক্তি, "ইন্দৌর এবং ভারত হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ। এমন পোশাক পরে বাড়ি বাড়ি যান ডেলিভারি এজেন্টরা? হনুমান জয়ন্তি, রাম নবমী বা দীপাবলির মতো হিন্দুদের উৎসবগুলিতে কি কখনও রাম সাজেন ওঁরা?" সুমিতের দাবি, এভাবেই ধর্মান্তরণের সূচনা ঘটে। অনলাইন খাবার সরবরাহকারী সংস্থার মালিকের মানসিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।