গুয়াহাটি : পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসা থেকে মুক্তি পেতে ভয়ে বাংলা থেকে পালিযে অসমে আশ্রয় নিয়েছেন ৪০০ বিজেপি কর্মী, সমর্থক। এমনটাই দাবি করলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তর এবারে সর্বানন্দ সোনোওয়ালের পরিবর্তে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। উত্তর-পূর্বের রাজ্য অসমে গেরুয়া শিবিরের দখলে রাখার অন্যতম কারিগর তিনি। সেই হিমন্ত বিশ্বশর্মার কথায়, বঙ্গে গণতন্ত্রের নামে চলতে থাকা এই ভয়ানক হিংসা-নৃত্য বন্ধ হওয়া দরকার।


ট্যুইটারে হিমন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্দেশে কড়া ভাষায় সমালোচনা করে জানিয়েছেন, 'খুব দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৩০০-৪০০ জন বিজেপি কার্যকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা ধুবরি প্রান্ত দিয়ে বঙ্গ ছেড়ে অসমে প্রবেশ করেছেন। ভয়ে-আতঙ্কে কাঁটা হয়ে আছেন তারা। তাদের খাদ্য-বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছি আমরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়িত্ব নেওয়া উচিত বঙ্গে গণতন্ত্রের নামে চলতে থাকা এই ভয়ানক হিংসা-নৃত্য বন্ধ করা। বাংলা ও বঙ্গবাসীর এরকম পরিবেশ প্রাপ্য নয়।' সোশ্যাল মিডিয়ায় হিমন্ত বিশ্বশর্মার যে বার্তার পর তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।




রবিবার রাজ্যে ভোটের ফলাফল সামনে আসার পর থেকে রাজ্যজুড়ে চলছে রাজনৈতিক হিংসা। বিরোধীদের অভিযোগ, একাধিক জায়গায় তাদের কর্মী-সমর্থকরা আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ হারাতে হয়েছে অনেককে। এই পরিস্থিতিতে সোমবারই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে রাজ্যে হিংসার পরিস্থিতি থামানোর জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানায় বিজেপি-র প্রতিনিধি দল।


মঙ্গলবারই দু'দিনের সফরে পশ্চিমবঙ্গ সফরে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। গোটা রাজ্যের একাধিক জায়গায় যেখানে যেখানে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেখা করেন তিনি।



বঙ্গে চলতে থাকা রাজনৈতিক হিংসার পরিবেশ সামলাতে রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ করছে সেটা জানতে ইতিমধ্যে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। রাজ্যপালও রাজ্যকে পরিস্থিতি সামলাতে বাড়তি ভূমিকা নিতে বলেছেন। গতকাল তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আবেদন করার পাশাপাশি প্রথা মেনে ইস্তফা জমা দিতে যাওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে তিনি আলোচনা করেছেন বলেই জানান রাজ্যপাল।


মঙ্গলবার জগদীপ ধনখড় জানিয়েছেন, বঙ্গে চলতে থাকা পরিস্থিতি নিয়ে তাঁকে ফোন করে উষ্ণাপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।