ওয়াশিংটন: পূর্ব লাদাখ নিয়ে চিনের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত বিরোধ বহাল রয়েছে। তার মধ্যেই অরুণাচল প্রদেশের প্রশ্নে ফের ভারতের পাশে আমেরিকা। চিন কখনই মানতে চায় না, অরুণাচল ভারতের। সেখানে ভারতের নেতা, মন্ত্রীদের সফরের বিরোধিতা করে। চিনের দাবি, অরুণাচল তাদের, সেটি দক্ষিণ তিব্বতের ভূখণ্ড। কিন্তু ফের আমেরিকা জানিয়ে দিল, অরুণাচল ইস্যুতে তারা ভারতের দাবি সমর্থন করে। ভারতের পাশে থাকছে তারা।
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে চিনের সাম্প্রতিক হুঙ্কার উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মার্কিন বিদেশ দপ্তর বিবৃতি দিয়ে বলেছে, প্রায় ৬ দশক আমেরিকা অরুণাচল প্রদেশকে ভারতীয় ভূখণ্ড বলেই স্বীকৃতি দিয়েছে। স্বীকৃত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে সামরিক বা অসামরিক অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে সেই ভূখণ্ডের ওপর একতরফা অধিকার ফলানোর যে কোনও প্রয়াসের তীব্র বিরোধী আমরা। মার্কিন বিদেশ দপ্তর আরও বলেছে, বিতর্কিত এলাকার কথা যদি ধরা হয়, তাহলে আমরা এটুকুই বলতে পারি যে, ভারত, চিনকে দ্বিপাক্ষিক রাস্তায় বিরোধ মিটিয়ে ফেলতেই উত্সাহ দেব, সামরিক শক্তি প্রয়োগ করতে না করব।
আমেরিকার এহেন বক্তব্য চিনের কাছে নিঃসন্দেহে একটা বড় ধাক্কা। চিন বরাবরই অরুণাচলকে নিজেদের বলে দাবি করে। গত মাসে অরুণাচলের ৫ বাসিন্দা নিখোঁজ হওয়ার পর তারা চিনের হাতে বন্দি কিনা, জানতে চাওয়া হলে সরাসরি জবাব না দিয়ে চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান জানিয়ে দেন, চিন কখনই অরুণাচলকে স্বীকৃতিই দেয় না। চিন মনে করে, অরুণাচল তিব্বতের দক্ষিণ এলাকা। যদিও পরে চিনা সেনাবাহিনী অরুণাচলের নিখোঁজ যুবকদের তাদের ভূখণ্ডে পাওয়া গিয়েছে বলে জানায়, ভারতের হাতে তুলেও দেয়।
সম্প্রতি অরুণাচল সীমান্ত নিয়ে চিনের নয়া প্ল্যান সামনে আসে যখন জানা যায়, তারা রাজ্য সংলগ্ন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় ৬টি জায়গায় সেনা মোতায়েন বাড়িয়ে দিয়েছে। অরুণাচলের বিশায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে একটি রাস্তাও বানিয়েছে তারা। অরুণাচলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে ৪টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সতর্ক রয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।