কলকাতা: শনিবারও বরফ ঢাকা পাহাড় থেকে উদ্ধার করা গেল না পর্বতারোহী রাজীব ভট্টাচার্যর দেহ।


এদিন সকালে রাজ্য যুব কল্যাণ দফতরের পর্বতারোহণ বিভাগের তরফে তিনজনের উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে। এই দলে রয়েছেন এভারেস্টজয়ী দীপঙ্কর ঘোষ, দেবদাস নন্দী এবং রাজীবের এক আত্মীয়। তবে কাঠমান্ডু পৌঁছলেও খারাপ আবহাওয়ার জন্য তাঁরা উদ্ধার অভিযানে রওনা হতে পারেননি। এই তিন সদস্যের আগেই অবশ্য পাঁচ অভিজ্ঞ শেরপাকে রাজীবের দেহ উদ্ধারের জন্য পাঠানো হয়েছে। তাঁরা বেস ক্যাম্প অবধি পৌঁছেছেন। তবে রাজীবের দেহ রয়েছে সেখান থেকে অনেকটা দূরে।

 

১১ এপ্রিল কাঠমাণ্ডু থেকে ধৌলাগিরির উদ্দেশে অভিযান শুরু করেন রাজীব৷ শেরপা তাসিকে সঙ্গে নিয়ে প্রথমে ধৌলাগিরি বেসক্যাম্পে পৌঁছন তিনি৷ সেখান থেকে প্রথমে ক্যাম্প ওয়ান৷ তারপর আরও বেশি উচ্চতার ক্যাম্প টু৷ ক্যাম্প থ্রি-র অবস্থান শৃঙ্গের খুবই কাছাকাছি৷ ১৯ মে ক্যাম্প থ্রি হয়েই ধৌলাগিরি শৃঙ্গজয় করেন রাজীব৷ ফেরার সময়ই  স্নো-ব্লাইন্ডনেসের শিকার৷ সূর্যরশ্মি বরফে প্রতিফলিত হয়ে চোখে পড়ায় দৃষ্টিহীনতা৷ চোখে কিছুই দেখতে পাচ্ছিলেন না তিনি৷

 

অভিযানের নেশায় প্রবল অসুস্থতা নিয়েই এগোতে থাকেন রাজীব৷ ধৌলাগিরির উচ্চতা৷ দুর্গম পথ৷ ক্রমশ কমতে থাকে অক্সিজেন৷ ক্লান্তি গ্রাস করতে থাকে রাজীবকে৷ প্রকৃতির সঙ্গে যুঝেও শেষরক্ষা হল না৷ রাজীবকে কেড়ে নিল ধৌলাগিরি৷

এখন তাঁর দেহ উদ্ধারের জন্য শেরপাদের দলটিকে বেস ক্যাম্প থেকে ক্যাম্প ওয়ান, ক্যাম্প টু হয়ে ক্যাম্প থ্রি-র কাছে পৌঁছতে হবে। সেখানেই রাজীবের দেহ রয়েছে। অন্যদিকে, আবহাওয়া অনুকূল হলে যুবকল্যাণ দফতরের উদ্ধারকারী দলও ক্যাম্প থ্রির উদ্দেশে রওনা দেবে।