নয়া দিল্লি : তীব্র দাবদাহ। শুধু এ রাজ্যেই নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এবার গরমের চরম পরিণতি দেখল উত্তরপ্রদেশ। গত তিন দিনে ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গরমে অসুস্থ হয়ে বালিয়া জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও প্রায় ৪০০। চিকিৎসকরা বলছেন, যদিও মৃত্যুর বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে, তবে অত্যধিক গরমও একটা কারণ হতে পারে। তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। 


উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন প্রান্ত চরম দাবদাহ চলছে। এই আবহেই দিন দিন মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে এবং হাসপাতালে জ্বর, শ্বাসকষ্ট-সহ অন্যান্য সমস্যা নিয়ে রোগী ভর্তির সংখ্যাও দিন দিন বেড়েই চলেছে। যা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে বিভিন্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। হাসপাতালের কর্মীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বালিয়া জেলা হাসপাতালের ইনচার্জ মেডিক্যাল সুপারিনটেন্ডেন্ট এস কে যাদব জানিয়েছেন, গত ১৫ জুন ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, পরের দিনে ২০ জনের এবং গতকাল মারা যান ১১ জন। 


আজমগড় সার্কেলের অতিরিক্ত স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিপি তিওয়ারি বলেন, লখনৌ থেকে একটি দল এটা খতিয়ে দেখতে আসছে যে, অন্য কোনও রোগের কারণে এমনটা হচ্ছে কি না। খুব গরম বা ঠান্ডা হলেই শ্বাসকষ্ট, ডায়াবেটিস ও রক্তচাপের রোগীদের ঝুঁকি বেড়ে যায়। অল্প একটু পারদ বাড়লেই তাঁদের মৃত্যু হতে পারে।


কেমন আবহাওয়া বঙ্গে ?


সকালে বৃষ্টি হলেও, বেলা বাড়তেই গুমোট গরম। বর্ষা বঙ্গে পা রাখলেও, পিছু ছাড়ছে না অস্বস্তি। এরই মধ্যে আশার খবর শুনিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বুধবার দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢোকার সম্ভাবনা। উত্তরবঙ্গে আগামী কয়েকদিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হলেও, পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে রবিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহ চলবে।


দক্ষিণবঙ্গে কবে পা রাখবে বর্ষা ? একেবারে পঞ্জিকা মেনে আষাঢ়স্য দিবসে সেই সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তার আগে শনিবার সকাল থেকেই ছিল আকাশের মুখ ভার। কোথাও কোথাও হালকা, ঝিরঝিরে বৃষ্টিও হয়েছে। যদিও তারপরও ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস করছে দক্ষিণবঙ্গের মানুষ। অন্যদিকে, বৃষ্টিতে ভিজছে উত্তরবঙ্গ। সেখানে আগেই পা রেখেছে বর্ষা। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বুধবারের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে ঢুকবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। রবিবার থেকে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু হবে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা উত্তরবঙ্গের ওপরের পাঁচ জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আর বাকি তিন জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি। রবিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহ চলবে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতেও।