নয়াদিল্লি: এখনই পাততাড়ি না গোটালেও, বাংলায় দাপট কমেছে শীতের (Cold Wave Forecast)। কিন্তু উত্তর ভারতে এখনও দাপিয়েই ব্যাটিং করছে শীত। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রা নামতে নামতে -৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যেতে পারে বলে অনুমান করছেন আবহবিদরা (Delhi Weather Forecast)। তাঁদের দাবি, ২০২৩-এর জানুয়ারি মাস দিল্লির জন্য শীতলতম হতে চলেছে। আগে কখনও রাজধানীর তাপমাত্রা এত নিচে নামেনি বলে দাবি তাঁদের (Weather Updates)।
আগে কখনও রাজধানীর তাপমাত্রা এত নিচে নামেনি বলে দাবি আবহবিদদের
আগমন পর্ব থেকে একেবারে অন্তিম পর্ব পর্যন্ত দিল্লিতে বরাবরই শীতের দাপট অনুভূত হয়। তার সঙ্গে বিগত কয়েক বছরে ধোঁয়াশার প্রকোপ রাজধানীকে কার্যতই গৃহবন্দি করে ফেলেছে। এ বছর দফায় দফায় শৈত্যপ্রবাহও কাবু করে ফেলে রাজধানীকে। তবে সেখানেই শেষ নয়, আগামী দিনে, বিশেষ করে ১৪ থেকে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহের প্রকোপ থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহবিদরা। ১৭ থেকে ১৮ জানুয়ারি তাতে কাঁপুনি ধরবে বলে মিলেছে আগাম ইঙ্গিত।
সম্প্রতি উত্তর ভারতে পারদ পতনে সামান্য বিরাম লক্ষ্য করা যায়। তবে শীতের দাপট এখনই কমার ইঙ্গিত নেই বলে জানিয়েছেন আবহবিদরা। জানা গিয়েছে, এর মাঝে দিল্লিতে হালকা বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে। তাতে জবুথবু অবস্থা থেকে কিছুটা হলেও রেহাই মিলবে। তবে দিল্লি এবং পড়শি রাজ্যগুলিতে শৈত্যপ্রবাহের দাপট অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: Joshimath Situation:আতঙ্কের প্রহর গুনছে জোশীমঠ, বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ধামি! কী পরিস্থিতি এখন?
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ঠান্ডায় কার্যত জবুথবু দিল্লি। চলতি সপ্তাহে সামান্য রেহাই মিলবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। পশ্চিমি ঝঞ্ঝার কারণে উত্তর-পশ্চিম ভারতে তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে। শুক্রবার পর্যন্ত এই অবস্থা স্থায়ী হবে। তবে তার পর ফের পতন ঘটবে তাপমাত্রার।
বৃহস্পতিবার দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে ২ ডিগ্রি বেশি। আগামী কয়েক দিনে দিল্লির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে বলেও অনুমান করছেন আবহবিদরা। ২০০৬ সালেও ঠিক এমনই পরিস্থিতি ছিল দিল্লির। সে বার দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসে গিয়েছিল। ফের ২০১৩ সালেও একই পরিস্থিতি দেখা দেয়। এ বার ফের দিল্লি ঠান্ডায় রেকর্ড গড়বে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
ঠান্ডার সঙ্গে শৈত্যপ্রবাহ দাপট দেখাবে রাজধানীতে