অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় জওয়াদ এখন পরিণত হয়েছে নিম্নচাপে। তবে তার প্রভাবে আজ দক্ষিণবঙ্গজুড়ে বৃষ্টি চলবে বলি জানা গিয়েছে। এখনও বাংলার আকাশে রয়েছে দুর্যোগের মেঘ। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে বলা হয়েছে, নিম্নচাপের অভিমুখ উত্তর ও উত্তর-পূর্বমুখী। এর ফলে সোমবার বাংলাদেশ লাগোয়া তিন জেলা নদিয়া, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হালকা থেকে মাঝারি বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের অন্য জেলাগুলিতেও। কলকাতায় আজ বিকেলের পর থেকে বৃষ্টি কমবে। কাল থেকে দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়ার উন্নতি হবে বলেই খবর।
নিম্নচাপের বৃষ্টিতে কলকাতার (Kolkata) বিভিন্ন জায়গায় জল জমেছে। লালবাজার (Lalbazar) ট্রাফিক কন্ট্রোল সূত্রে খবর, উত্তর ও মধ্য কলকাতার কয়েকটি জায়গা জলমগ্ন। ঠনঠনিয়া, এমজি রোড, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, এমজি রোড-সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ক্রসিংয়ের একাংশে জল রয়েছে। জল জমেছে উত্তর বন্দর থানার সামনেও। জল জমে থাকায় সকাল থেকে ওই সমস্ত এলাকায় ধীর গতিতে যান চলাচল করছে।
এদিকে, টানা বৃষ্টির জেরে এক লাফে অনেকটাই কমেছে তাপমাত্রার পারদ। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের তরফে জানান হয়েছে আজ দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৬ ডিগ্রি কম। দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বাধিক ৯৮ শতাংশ, ন্যূনতম ৯২ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৬৭.৭ মিলিমিটার।
সোমবার সকাল থেকে কালোই মেঘে ঢাকা আকাশ। যার জেরে রাত থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। টানা বৃষ্টিতে জলও জমে গেছে বিভিন্ন জায়গায়। জওয়াদের প্রভাব না থাকলেও নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে সাগরের ধান চাষীরা। জওয়াদের প্রভাব সঙ্গে অমাবস্যার কটাল। জোড়া ধাক্কায় কোথাও ভাঙল নদীবাঁধ। কোথাও সমুদ্র বাঁধ উপচে জল ঢুকল গ্রামে। তার ফলে দুর্ভোগ বাড়ল গোসাবা, সাগর ও মৌসুনি দ্বীপে (Mousuni Island )। সতর্কতায় দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বন্ধ রাখা হয় ফেরি সার্ভিস (Ferry Service)।
দিঘা (Digha), বকখালিতে (Bakkhali) অশান্ত সমুদ্র। গোসাবায় (Gosaba) ফুলেফেঁপে উঠেছে নদী। নদী বাঁধ ভেঙে ফের জলের তলায় মৌসুনি দ্বীপ (Mousuni Island )। সাগরে জলের তোড়ে উল্টে গেল নৌকা। বাংলায় ঢোকার আগে ঘূর্ণিঝড় জওয়াদ ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়লেও, নিম্নচাপের প্রভাবে শনিবার থেকে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে চলছে বৃষ্টি। সঙ্গে ভরা কটালের জেরে জলস্তর বেড়ে ওঠে হুগলি (Hoogly), হলদি থেকে বিদ্যাধরী নদীর (Vidyadhari River)।