কলকাতা : স্বামী-বাবা-মা বিধায়ক হলেও, প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে ছিলেন না। শোভন চট্টোপাধ্যায় বেহালা বাড়ি ছাড়ার পর থেকে ১৩১ নম্বর ওয়ার্ড দেখছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। 
বিধানসভা ভোটে শোভনের বেহালা পূর্বে রত্নাকে প্রার্থী করে তৃণমূল। প্রথম লড়াইয়েই বাজিমাত করেন তিনি। 


এবার শোভনের ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে রত্নাকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। রাজনীতির পরিবারের সঙ্গে যুক্ত হলেও, সরাসরি রাজনীতির ময়দানে সম্প্রতি। বিধানসভার পর আবার প্রার্থী। 


কলকাতা পুরসভার ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী রত্না চট্টোপাধ্যায় বললেন, এই ওয়ার্ড চারবছর ধরে দেখছি। দিদির মনে হয়েছে রত্নাকে দেওয়া উচিত. চার বছর প্রচুর পরিশ্রম করেছি।

আরও পড়ুন :


রাতভর অঝোরে বৃষ্টি, সপ্তাহের শুরু দুর্যোগে


১৩১ নম্বর ওয়ার্ড রত্নার বেশ চেনা। পৌঁছে যান ভোটারদের দরজায়। প্রত্য়য়ী সুরেই এবিপি আনন্দকে জানালেন, ' আগে ঘরের বউ ছিলাম। শোভনবাবু চলে যাওয়ার পর সবটাই আমার কাঁধে। ওয়ার্ডের সমস্যা পুরোটাই জানি। পুকুরগুলির সৌন্দর্যায়ন করতে চাই। ওয়ার্ডের একাংশে জলের সমস্যা আছে। জলের চাপ কম।'


বিধানসভা ভোটের মতো পুরভোটের প্রচারেও সিরিয়াস রত্না চট্টোপাধ্যায়। দেওয়াল লেখার জন্য উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থেকে এনেছেন শিল্পী। বেহালা পূর্বে বিধানসভা ভোটে বড় ব্যবধানে জিতেছিলেন রত্না। বিধানসভা ভোটের নিরিখে এই ওয়ার্ডে ৪ হাজার ৫৩৫ ভোটের লিড আছে তৃণমূলের।


পরপর দু’বার কলকাতার মেয়র ছিলেন তৃণমূলের কানন। আর তাঁর ওয়ার্ডেই রত্না চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। যা দেখে শাসক দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। বলেন, 'আমি গ্রেফতার হয়েছি। আমাকে অনেক সময় মমতার পরিবারের বিরুদ্ধে বলানোর চেষ্টা হয়েছে। বলিনি সব নিজের কাঁধে নিয়েছি। যাঁরা বলেছেন তারা পুরস্কৃত, আর আমি বহিষ্কৃত বাহরে বা!'  পাল্টা রত্না বলেন, 'আপনাকে তিরষ্কৃত করা হয়নি, আপনি ছেড়ে গেছেন। আপনি দলনেত্রীর পায়ে ধরতে পারতেন।)'


এই পরিস্থিতিতে,  ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে চর্তুমুখী লড়াইয়ে কী ফল হয় তা নিয়ে বাড়ছে কৌতূহল। ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভার ১৪৪ ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ। EVM-এর মাধ্যমেই হবে ভোটগ্রহণ। ২১ ডিসেম্বর ভোটগণনা।