কলকাতা: কোনওভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না সংক্রমণ। উদ্বেগ বাড়িয়ে গতকালের তুলনায় বাড়ল দৈনিক মৃতের সংখ্যা। পাশাপাশি রাজ্যে একদিনে করোনা মুক্ত হয়েছেন প্রায় ১৬ হাজার। 


স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে একদিনে করোনায় আক্রান্ত ১৭হাজার ৫০১ জন । ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত ৯৮ জন। রাজ্যে একদিনে সুস্থ ১৫৯৩৭ জন। রাজ্যে সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ০৬ শতাংশ। কলকাতায় একদিনে করোনা আক্রান্ত ৩৯৯০ জন, মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের। উত্তর ২৪ পরগনায় একদিনে আক্রান্ত ৩৯৬৫ জন, মৃত ২৩।


রবিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৫১৫।  মৃত্যু হয় ৯২ জনের। গতকাল রাজ্যে করোনা মুক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৫৮৭ জন। কলকাতায় আক্রান্ত হন ৩ হাজার ৯৪২ জন, মৃত্যু ২৩ জনের। উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৯৪২, মৃত্যু ২৯ জনের। সুস্থতার হারছিল ৮৪.৯৪ শতাংশ। 


করোনা মোকাবিলায় আরও কড়াকড়ি রাজ্যে। বন্ধ দেওয়া হল রাজ্যের সব চিড়িয়াখানা। পর্যটকদের জন্য বন্ধ সংরক্ষিত বনাঞ্চল, অভয়ারণ্য, জাতীয় উদ্যান। ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্প পরিদর্শনও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত। বন্ধ রাখা হবে বন দফতরের অধীন সব ইকো ট্যুরিজম, লজ। বাতিল করতে হবে বুকিং, ফেরত দিতে হবে টাকা। যত দ্রুত সম্ভব এই নির্দেশিকা কার্যকর করা হবে। যদিও বন দফতরের আওতাধীন পার্ক এখনই কার্যকর হচ্ছে না। নির্দেশ জারি করল বন দফতর।


এদিকে দেশজুড়ে ভয়ঙ্কর করোনা। আর তার জেরেই চরমে ভ্যাকসিনের চাহিদা। কিন্তু, যোগান কোথায়? রাজ্যজুড়ে ভ্যাকসিনের চরম সঙ্কট।  এরইমধ্যে গত শনিবার স্বাস্থ্য দফতর এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, যেহেতু ভ্যাকসিনের পর্যাপ্ত জোগান নেই, তাই আপাতত ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার ওপরই জোর দেওয়া হচ্ছে। ভ্যাকসিনের সরবরাহ স্বাভাবিক হলে, প্রথম ডোজ দেওয়া শুরু হবে। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে প্রথম ডোজ যে দেওয়া হবে না, সেই নোটিস দেওয়া হয়েছে। মানিকতলা ইএসআই হাসপাতালে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়নি। অথচ নোটিসও টাঙানো হয়নি। এ নিয়ে সকালে কিছুটা বিক্ষোভ হয়। বেসরকারি হাসপাতালেও আজ বন্ধ আছে টিকাকরণ।