নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে অব্যাহত করোনাভাইরাসের দাপট। করোনার এই ঢেউ ত্রাহি ত্রাবি রব তুলেছে। এরইমধ্যে সুপ্রিম কোর্ট এই মারণ-ভাইরাস মোকাবিলায় লকডাউন জারির বিষয়টি বিবেচনা করে দেখতে বলেছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলিকে। জন সমাগম ও সংক্রমন ছড়ানোর সহায়ক অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ করার বিষয়টিও বিবেচনা করে দেখতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। 
সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, জন সমাবেশ ও সংক্রমণ ছড়ায়, এমন অনুষ্ঠানগুলি নিষিদ্ধ করার বিষয়টি বিবেচনার জন্য আমরা কেন্দ্র ও রাজ্যগুলি আর্জি জানাচ্ছি। জনস্বার্থে ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলা করতে সরকার লকডাউন জারির বিষয়টিও বিবেচনা করে দেখতে পারে। 
সুপ্রিম কোর্ট আরও বলেছে, লকডাউন জারি হলে সামাজিক-আর্থিক প্রভাব, বিশেষ করে, সমাজের প্রান্তিক মানুষের সমস্যার দিকগুলি মাথায় রাখতে হবে। প্রান্তিক মানুষের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার আগাম ব্যবস্থা করতে হবে। 


ভাইরাসের সংক্রমণের প্রকোপ এড়াতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানাতেও কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলিকে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। এখনও পর্যন্ত দেশে ১,৯৯,২৫,৬০৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এই মুহূর্তে অ্যাক্টিভ আক্রান্ত ৩৪,১৩,৬৪২। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২,১৮,৯৫৯ জনের।


অদূর ভবিষ্যতে ভাইরাস মোকাবিলার লক্ষ্যে কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা করা হয়েছে, তা জানাতেও কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।


করোনার সাম্প্রতিক সংকটের কথা মাথায় রেখে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ,  সব রোগীকেই প্রয়োজনে হাসপাতালে বেড দিতে হবে, দিতে হবে প্রয়োজনীয় ওষুধ। স্থানীয় এলাকায় বসবাসের প্রমাণ না দিতে পারলেও রোগী প্রত্যাখ্যান করা যাবে না। 


সংকটের  প্রেক্ষিতে আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি সংক্রান্ত একটি জাতীয় নীতি তৈরি করতেও কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। আদালত জানিয়েছে, ওই নীতি সব রাজ্যকে অনুসরণ করতে হবে। ততদিন, স্থানীয়  এলাকায় বসবাসের প্রমাণ বা পরিচয়পত্র না থাকলে কাউকে হাসপাতালে ভর্তি বা ওষুধ প্রত্যাখ্যান করা যাবে না।


শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, করোনা অতিমারীর এই সেকেন্ড ওয়েভের সময়ে হাসপাতালে বেড পাওয়াটাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলের কাছে।