কলকাতা: কোভিড (Covid-19) মোকাবিলায় কড়া বিধিনিষেধের ভাবনা রাজ্য সরকারের। কোভিড আবহে ৩ জানুয়ারির নেতাজি ইন্ডোরের (Netaji Indoor Stadium) ছাত্রদের অনুষ্ঠান বাতিল। কবে এই অনুষ্ঠান হবে, তা এখনও ঘোষণা করা হয়নি। রাজ্য সরকার এই সপ্তাহকে স্টুডেন্টস উইক হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। সেই অনুযায়ী নেতাজি ইন্ডোরে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। ৩ জানুয়ারি থেকেই রাজ্যে কড়া বিধিনিষেধ জারি হতে পারে। জেলায় জেলায় বাতিল কাল থেকে শুরু হতে চলা ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিও। কোন কোন ক্ষেত্রে জারি করা হবে বিধিনিষেধ, কাল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। কাল নবান্নে প্রশাসনিক কর্তাদের বৈঠক।বৈঠকের পর জারি করা হতে পারে বিজ্ঞপ্তি।
রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় কোভিড চিকিত্সায় নতুন নিয়মবিধি জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। প্রোটোকল অনুযায়ী, দু’ ভাগে ভাগ করা হয়েছে করোনা রোগীদের। যাঁরা উপসর্গহীন তাঁদের বাড়িতে থেকে চিকিৎসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি ককটেল থেরাপি ব্যবহারের উল্লেখ করা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের নতুন নিয়মবিধিতে।
তবে এও বলা হয়েছে, এই থেরাপি ওমিক্রন আক্রান্তের ক্ষেত্রে সেভাবে কার্যকরী নয়। উপসর্গহীনদের চিকিত্সায় মালনুপিরাভিরও ব্যবহার করা যেতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে নতুন প্রোটোকলে। উপসর্গ থাকলে তাঁদের হাসপাতালে চিকিৎসার ক্ষেত্রেও রয়েছে নির্দিষ্ট গাইডলাইন। কোন রোগীকে কোন ধরনের ওয়ার্ডে রাখা হবে তাও বলা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের নতুন প্রোটোকলে।
আরও পড়ুন, করোনা আক্রান্ত রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, দেওয়া হচ্ছে অ্যান্টিবডি ককটেল
কলকাতায় বাড়ছে করোনা, সতর্কতাই একমাত্র পথ। বাধ্যতামূলক মাস্ক, বললেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। অন্যদিকে, দিলীপ ঘোষ বলেন, নতুন বছরের শুরুতে সবথেকে বেশি ভাবনা করোনা নিয়ে। মানুষের উচিত সতর্ক হওয়া। সরকারের পক্ষে এটা সম্ভব নয়। আমাদের নিজেদের উচিত নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করা। এদিকে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, আনন্দ করার পাশাপাশি সতর্কতা অবলম্বন করাই কোভিড থেকে বাঁচার একমাত্র পথ।
ওমিক্রন (Omicron) নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই দেশে একলাফে প্রায় ৩৫ শতাংশ বাড়ল করোনায় দৈনিক সংক্রমণ (Corona)। বাড়ল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের (Ministry of Health & Family Welfare, Govt of India) শনিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে হাজার ২২ হাজার ৭৭৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার ৭৬৪। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪০৬ জনের। গতকাল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২২০।