সুনীত হালদার, হাওড়া: ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হয়নি। কোনও দলই প্রার্থী ঘোষণা করেনি। তবে তার আগে হাওড়া ও পুরুলিয়ায় দুই বিজেপি নেতাকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরে ফ্লেক্স, ব্যানার পড়েছে। এই নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপির চাপানউতোর।
ভোটে লড়বেন কে? কে পাবেন টিকিট? এসব নিয়ে প্রত্যেক ভোটের আগেই বিভিন্ন দলের নেতাদের মধ্যে দড়ি টানাটানি শুরু হয়ে যায়।
আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। দলের তরফে কিছু ঘোষণার আগেই হাওড়া ও পুরুলিয়ায় বিজেপি নেতাদের নাম সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরে প্রচার শুরু হয়েছে। হাওড়ার জগৎবল্লভপুরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার নেতাকে প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরে প্রচার শুরু হয়েছে। অনুপম ঘোষ নামে ওই যুব নেতা তৃণমূলের হাওড়া সদর যুব সভাপতি ছিলেন। তিনি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী। হাওড়া জগৎবল্লভপুরের বিজেপি নেতা অনুপম ঘোষের দাবি, এগুলো তৃণমূলের ছেলেরা করেছে ৷
এদিকে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কৈলাস মিশ্র জানান, বিজেপিই এটা করেছে, আমরা চাই ও দাঁড়াক, ৫০০ ভোট কীভাবে পায় আমরা দেখব ৷
হাওড়ার মতো পুরুলিয়ার কাশীপুর বিধানসভাতেও একই বিতর্ক। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বিবেক রাঙ্গাকে প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরে ফ্লেক্স পড়েছে সেখানে। তবে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদকের দাবি, অনুগামীরা নন, পুরোটাই তৃণমূলের খেলা! পুরুলিয়ার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিবেক রাঙ্গা জানান, ‘‘এটা তৃণমূল চক্রান্ত করছে, পিকের টিমকে নিয়ে চক্রান্ত করছে ৷’’
পুরুলিয়ার তৃণমূল কংগ্রেস সহ সভাপতি জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের এত খারাপ দিন আসেনি, ওদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রকাশ ৷’’ পুরুলিয়া আর হাওড়া - দুই জায়গাতেই গত লোকসভা নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য ফল করেছে বিজেপি। তাই দলের মধ্যে টিকিট প্রত্যাশীদের সংখ্যাও বাড়ছে। বাড়ছে আদি-নব্য চাপানউতোর। সঙ্গে চলছে রাজনৈতিক তরজা।