হুগলি: বাংলার মা বোনেদের আত্মসম্মান, আত্মমর্যাদা, সুরক্ষার কথা আমরা দেখে রাখব। তৃণমূলে যোগ দিয়ে এদিন আশ্বাসবাণী শোনা গেল টলিউড অভিনেত্রী সায়নীর গলায়। শুধু তাই নয় ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়ে এদিন সায়নী বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দেন। তাঁর কথায়, 'ভোটের আগে বাংলার মাটিকে অন্য কারও পাখির চোখ? হতে দেব না'।
রাজ্যে ভোটের মুখে একাধিক তারকা আজ বুধবার যোগ দিলেন তৃণমূলে। হুগলির সাহাগঞ্জে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় তৃণমূলে যোগ দিলেন অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। এই তালিকায় ছিলেন টলিউডের একঝাঁক অভিনেতা-অভিনেত্রীরা।
বুধবার তৃণমূলে যোগ দিয়ে সায়নী বলেন, “যারা এখানে আছি তাঁরা কথা দিচ্ছি বাংলার মা বোনেদের আত্মসম্মান, আত্মমর্যাদা, সুরক্ষার কথা আমরা দেখে রাখব। বাংলার সার্বিক উন্নয়নেক কথা মাথায় রেখে আমরা এগিয়ে যাব। বাংলার শান্তি সম্প্রীতির বজায় রাখব। আমাদের বাংলার মাটি ১০ কোটি বঙ্গবাসীর হৃদয়ের স্পন্দন। শুধু ভোটের আগে সেটা কারও পাখির চোখ হয়ে উঠতে পারে না।
অভিনেত্রীর কথায়, আগামী দিনে আপনাদের হাত ধরে আমরা একটি সত্য শিব এবং সুন্দর পশ্চিমবঙ্গ রচনা করব। নিজেদের উপর এবং মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের উপর বিশ্বাস রাখার আহ্বান জানান তিনি।
এবার রাজ্যে ভোটের আগে রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে তারকাদেরও যুযুধান দলগুলি সামিল হওয়ার ঘটনা নজর কেড়েছে। সেই ধারাতেই এবার নয়া সংযোজন হল সাহাগঞ্জে মুখ্যমন্ত্রীর সভায়। পরিচালক রাজ চক্রবর্তী ও ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি সহ জুন মাল্য, মানালি দে,কাঞ্চন মল্লিক, সুদেষ্ণা রায়ের মতো সিনেমা জগতের সঙ্গে যুক্তরা সামিল হলেন জোড়াফুল শিবিরে। মনোজ-সায়নী-রাজদের হাতে পতাকা তুলে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত মাসেই বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের সঙ্গে ট্যুইট যুদ্ধ হয় অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের। বিতর্কিত ছবি পোস্ট করার অভিযোগ অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের বিরুদ্ধে রবীন্দ্র সরোবর থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়। তথাগতর অভিযোগ, ওই বিতর্কিত ছবি তাঁর ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করেছে। তথাগত ট্যুইটে সায়নীর উদ্দেশে জানান, কলকাতা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অসমের এক বাসিন্দাও তাঁর ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত লাগার কারণে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে চলেছেন। অভিনেত্রীর পাল্টা দাবি, ওই ট্যুইট ২০১৫ সালের। ট্যুইটটি যে আপলোড করা হয়েছে, তা তাঁর জানা ছিল না। ঘটনাটি নজরে আসার পরেই তিনি ট্যুইটটি মুছে দিয়েছেন বলে দাবি সায়নীর। সেইসঙ্গে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, কারও ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত দেওয়ার ইচ্ছা তাঁর নেই।