রানা দাস, পূর্ব বর্ধমান: মঙ্গলকোটে তৃণমূল নেতাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। নিহতকে দুষ্কৃতী বলে দাবি করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা। বিজেপি সংযত না হলে পাল্টা মার হবে। হুঁশিয়ারি দিলেন অনুব্রত মণ্ডল।


ভোটের মুখে খুন আরও এক তৃণমূল নেতা ৷ পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে পিটিয়ে মারা হল তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে ৷ অভিযোগের তির বিজেপির দিকেই ৷ তৃণমূল সূত্রে দাবি, মঙ্গলবার দুপুরে মঙ্গলকোটের নিগনে পার্টি অফিস থেকে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন বুথ সভাপতি সঞ্জিত ঘোষ।


রাস্তা আটকে বিজেপির কয়েকজন কর্মী তাঁকে গাড়ি থেকে নামিয়ে রড, বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। বছর আটত্রিশের ওই তৃণমূল নেতাকে বাঁচাতে গিয়ে মার খান এক তৃণমূল কর্মী ৷ কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে আনার পথে মৃত্যু হয় মঙ্গলকোটের তৃণমূল নেতার। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, খুনের নেপথ্যে রয়েছে বিজেপি। নিহত তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী আশালতা ঘোষ বলেন, ‘‘বিজেপির লোকেরা মেরেছে, গতকাল, সোমবার সৌমিত্র খাঁ সভা করে তারপর প্ল্যানমাফিক বিজেপি এটা করেছে ৷’’


সোমবার মঙ্গলকোটের নিগনে সভা করেন বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। তৃণমূলের অভিযোগ, সভা থেকে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ। দলীয় নেতা খুনের ঘটনায় বিজেপিকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছে তৃণমূল। অনুব্রত মণ্ডলের মতে, ‘‘বিজেপির লোকজন মেরেছে, ওরা এসব বন্ধ না করলে একটাও বিজেপি কর্মী বাড়ি থেকে বের হতে পারবে না, পাল্টা মার হবে, আমি চ্যালেঞ্জ করছি ৷’’


অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপির দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা। কাটোয়া-কালনা সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষের দাবি, ‘‘উনি দুষ্কৃতী, অত্যাচার করতেন এলাকায়, তৃণমূল নিজেদের মধ্যে গন্ডগোল করে আমাদের নাম বলছে ৷’’


মৃতের পরিবারের দাবি, এর আগেও হামলা হয়েছিল সঞ্জিতের ওপর। কিন্তু, তখন প্রাণে বাঁচলেও, মঙ্গলবার শেষরক্ষা হল না।