সুকান্ত দাস, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভোটের মুখে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মিলল অস্ত্র কারখানার হদিশ। বাড়ি মালিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১০টি ওয়ান শটার ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম। ঘটনায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। 


কাঠি পড়েছে ভোটের ঢাকে৷ রাজ্যে ইতিমধ্যেই এসে পৌঁছেছে ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ অন্যদিকে ক্রমেই মাথাচাড়া দিচ্ছে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা। 


আক্রান্ত বাবু মাস্টার, আক্রান্ত জাকির হোসেন ৷ এরই মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মিলল অস্ত্র কারখানার হদিশ ৷ দর্জির দোকানের আড়ালেই রমরমিয়ে চলছিল অস্ত্রের ব্যবসা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার রাতে ৫ নম্বর মনিরতট গ্রামে হানা দেয় বারুইপুর পুলিশ জেলার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ ও বকুলতলা থানার পুলিশ। হাতে নাতে পাকড়াও করা হয় বাড়ির মালিক পেশায় দর্জি খইরুল শেখকে। 


বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১০টি ওয়ান শটার ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম। পুলিশ সূত্রে খবর, বাড়ির ভেতরেই ছোট একটি ঘরে অস্ত্রের কারবার শুরু করেছিলেন খইরুল শেখ। ভোটমুখী বঙ্গে এ নিয়ে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। বারুইপুর পূর্ব সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি সুনীত দাস জানান, ‘‘এরকম অস্ত্র কারখানা আরও আছে, তৃণমূল কুটির শিল্প করে ফেলেছে অস্ত্র ব্যবসাকে। পুলিশকে বলব এরকম যত কারখানা আছে সব খুঁজে বের করতে।’’


পাল্টা জবাব দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। কুলতলির তৃণমূল ব্লক সভাপতি গোপাল মাজি জানান, ‘‘আগে এসইউসিআইয়ের শক্ত ঘাঁটি ছিল, বিজেপি মিম মিলে এসব করছে, এসব করে লাভ হবে না।’’


এদিন খইরুল শেখকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। কতদিন ধরে এই অস্ত্র কারখানা চলছিল? এখান থেকে কোথায় কোথায় কাদের এই অস্ত্র বিক্রি করত খইরুল? নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।