সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: দুই দেহরক্ষীর মাধ্যমে নিজের কোটার চাকরি বিক্রি করেছেন উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙার তৃণমূল বিধায়ক রফিকুর রহমান। চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে লিফলেট পড়ল বিধায়কের নির্বাচনী এলাকায়। তা নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি তরজা।


বন সহায়ক পদে নিয়োগ থেকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে সরগরম ভোটের বাংলা। এই প্রেক্ষিতেই চাকরি বিক্রির অভিযোগ উঠল আমডাঙার তৃণমূল বিধায়ক রফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে।  উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙায় বেরাবেরি সহ বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় বিলি করা হয়েছে লিফলেট। তাতে লেখা আছে –“আমডাঙায় কি শিক্ষিত ছেলে নেই? শেষ ১০ বছরে কেন বিধায়কের নিজের দুই গার্ডকে দিয়ে নিজের কোটার চাকরি  নদিয়া-মুর্শিদাবাদে চড়া দামে বিক্রি করেছে? বিধায়ককে ভোট দেওয়া হয়েছিল আমডাঙার যুব সমাজকে বঞ্চিত করার জন্য?” নীচে লেখা – “আমডাঙার মানুষ আর তোমার সাথে নেই। আমডাঙার মানুষ তৃণমূলের বিকল্প পেয়ে গেছে। এই বিধায়ক রফিকুরকে আমডাঙার মানুষ আর চায় না। ‘’


লিফলেটে কোনও ব্যক্তি বা সংগঠনের নাম নেই। তার জায়গায় বড় বড় করে লেখা ‘আমডাঙার সাধারণ মানুষ’। অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়কের দাবি, এসব বিরোধী দলের কাজ। ইন্ধন রয়েছে দলের একাংশের। আমডাঙার তৃণমূল বিধায়ক রফিকুর রহমান বলেন, ‘‘আমার স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকে বিরোধী দলের লোক সহ্য করতে পারছে না। তৃণমূলের মুখোশ পরা দুচারটে বিজেপি দলে রয়ে গেছে। এর পিছনে তারা থাকতে পারে। যদিও নিজের দলের বিধায়কের অন্তর্ঘাতের দাবি খারিজ করে দিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের কোঅর্ডিনেটর। তাঁর বক্তব্য, তৃণমূলের কেউ লিফলেট দেয়নি। আমাদের দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে বিজেপিই এসব করছে।


তৃণমূলের অভিযোগ মানতে নারাজ বিজেপি।  ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের দাবি, ‘‘এসব তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব। দুর্নীতি তো করেছে। চাকরি নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে ৷’’ তৃণমূল ছাড়ার পর, পুরনো দলের বিরুদ্ধে নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ এনেছেন বিজেপিতে যোগ দেওয়া রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়-বিশ্বজিৎ‍ কুণ্ডুরা। অস্বীকার করেছে শাসক দল। চাকরি বিক্রির অভিযোগে তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে পড়া লিফলেট এই বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করল।