রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদে ফের ভাঙন তৃণমূলে। এবার দল ছাড়লেন সুতি ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি। দীর্ঘদিন ধরেই নিষ্ক্রিয় ছিলেন দলত্যাগী মাসাদুল হক। পাল্টা দাবি জেলা তৃণমূল সভাপতির।


জেলা পরিষদের পর এবার পঞ্চায়েত সমিতি। মুর্শিদাবাদে ফের ফাটল ধরল তৃণমূলে। দল ছাড়লেন সুতি ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি মাসাদুল হক ওরফে পিকু। দলে থেকে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছিল, সেকারণেই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত। জানিয়েছেন দলত্যাগী তৃণমূল নেতা। সুতি ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি মাসাদুল হক বলেন, ‘‘আমাকে অনেক দিন ধরেই পঞ্চায়েত সমিতির কাজে যুক্ত করা হয়নি। পঞ্চায়েতে সমিতিতে কী কাজ হচ্ছে আমি জানতে পারি না। বারবার জেলা নেতৃত্ব-স্থানীয় নেতৃত্বকে জানিয়েও লাভ হয়নি ৷’’


২০১৫ সালে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন মাসাদুল হক। ২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোটের পর, সুতি ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। শুভেন্দু অনুগামী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন তিনি। জেলা তৃণমূল সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, শুভেন্দু বেসুরো হওয়ার পর থেকেই দলে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছিলেন মাসাদুল। তৃণমূলের জেলা সভাপতি আবু তাহের খান জানান, ‘‘ও দীর্ঘদিন ধরেই নিষ্ক্রিয়। কোনও কাজ করে না। পঞ্চায়েত সমিতিতে যায় না। দলের কাজ করে না। এখন ভোট আসছে, তাই বিধায়ক হওয়ার জন্য লাফালাফি করছে। ভোটে দাঁড়ালে যোগ্য জবাব দেব ৷’’


দলবিরোধী কাজের অভিযোগে গত বুধবার মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি এবং শুভেন্দু অনুগামী হিসেবে পরিচিত মোশারফ হোসেনকে বহিষ্কার করেছিল তৃণমূল। যদিও শুভেন্দু অধিকারীর পথে না হেঁটে, কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। এবার নিজে থেকেই তৃণমূল ছাড়লেন সুতি ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি। তবে আগামী দিনে অন্য কোনও দলে যোগ দেবেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট করেননি তিনি।