সুনীত হালদার, হাওড়া: হাওড়ায় ফের তৃণমূলে ফাটল। এবার দলবদল করলেন বাগনানের তৃণমূল যুব সভাপতি তথা চন্দ্রভাগ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। দলত্যাগী নেতার স্ত্রী তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ। দলবদলের প্রভাব সংসারে পড়বে না বলে দাবি করেছেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা।


রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়া থেকে শুরু করে তৃণমূলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বাণী সিংহরায়। গঙ্গাপাড়ের জেলায় তৃণমূলে ফাটল ধরছে। একের পর এক নেতা-বিধায়ক যোগ দিয়েছে বিজেপিতে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল বাগনানের তৃণমূল যুব সভাপতি তথা চন্দ্রভাগ পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের নাম। সোমবার উলুবেড়িয়ার পার্টি অফিসে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। বাগনানের তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত উপপ্রধান ও যুব সভাপতি মলয় সাহা জানান, ‘‘রাজ্যে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলাম। রাজ্যে উন্নয়নের পাশাপাশি শান্তি চাই। তৃণমূল কংগ্রেস বর্তমানে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হয়ে গেছে। তাই বিজেপি কর্মী হিসাবে কাজ করতে চাই।’’


হাওড়ায় ফের তৃণমূলে ভাঙন নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। হাওড়া গ্রামীণের বিজেপি সভাপতি প্রত্যুষ মণ্ডল জানান, ‘‘ভোট যত এগিয়ে আসবে হাওড়া গ্রামীনে আরো অনেক তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগ দেবেন। মলয়বাবুর নেতৃত্বে প্রায় দেড় হাজার তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেছে।’’


গত বছর ডিসেম্বর মাসে তৃণমূলে যোগ দেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল খাঁ। এরপর সাংবাদিক বৈঠক থেকে স্ত্রীকে বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিস পাঠানোর কথা ঘোষণা করেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ। বিজেপিতে যোগ দেওয়া মলয় সাহার স্ত্রী অন্তরা বর্তমানে তৃণমূল পরিচালিত হাওড়া জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ। যদিও, দলবদলের প্রভাব সংসারে পড়বে না বলে দাবি করেছেন বাগনানের সদ্য তৃণমূলত্যাগী নেতা মলয় সাহা। তিনি বলেন, ‘‘স্ত্রী তৃণমূলে থাকলেও স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক চির ধরবে না।’’


ভোটের আগে লাগাতার ভাঙন কি রুখতে পারবে তৃণমূল? তৃণমূল ভাঙিয়ে কি বিজেপির কোনও লাভ হবে? উত্তর মিলবে ভোটের ফলে।