কলকাতা: 'কালীঘাটের কাকু' বলা গোপাল দলপতিকে সিবিআই (CBI) তলব। সকাল ১১টায় নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছিল। তবে এখনও যাননি গোপাল দলপতি। নির্ধারিত সময়ের পর ৫ ঘণ্টা পার, এখনও হাজির হননি গোপাল দলপতি (Gopal Dalapati)।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার যুব তৃণমূল নেতা (TMC Leader) কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) মুখে উত্তরবঙ্গের প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা গোপাল দলপতির নাম। কিন্তু, এই দুর্নীতিতে কি গোপালের কোনও ভূমিকা আছে? নাকি কারও নাম আড়াল করতে কৌশলে জেলবন্দি গোপালের নাম ভাসানো হচ্ছে? ধোঁয়াশা কাটাতে জেলে গিয়ে গোপালকে জেরা করতে চেয়েছিল ইডি।
ওই নেতার PA-র অ্যাকাউন্ট থেকে ৩৯ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে গোপাল দলপতি ওরফে আরমান গঙ্গোপাধ্যায়ের স্ত্রীর সংস্থার অ্যাকাউন্টে। সিবিআইয়ের জেরায় বিস্ফোরক দাবি করলেন যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ।
গোপাল কুন্তল জেরা: গতকাল গোপালের মুখোমুখি বসে জেরায় কুন্তল দাবি করেন, চাকরি-বিক্রির ৬১ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে মুম্বইয়ের নরিম্যান পয়েন্টে গোপাল দলপতি ওরফে আরমান গঙ্গোপাধ্যায়ের স্ত্রীর সংস্থার অ্যাকাউন্টে। এর মধ্যে ৩৯ লক্ষ টাকা এসেছে উত্তরবঙ্গের প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার PA-র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে। সিবিআইয়ের দাবি, বিভিন্ন জায়গা থেকে এই টাকা জমা পড়েছিল। টাকার উৎস কী, তা জানতে আজ ফের গোপাল দলপতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই।
'কালীঘাটের কাকু'র সাক্ষাৎকার: এই প্রথম প্রকাশ্যে এলেন তাপস মণ্ডল বর্ণিত 'কালীঘাটের কাকু'কে এই 'কালীঘাটের কাকু' সুজয় ভদ্র? কালীঘাটের সঙ্গে তাঁর যোগযোগ কোথায়?
তিনি কতটা প্রভাবশালী? সুজয় ভদ্রই কি নিয়োগ দুর্নীতির পিরামিডের মাথা?
এই সব, প্রশ্নে যখন রাজ্য-রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে গেছে, তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা, তখন এবিপি আনন্দে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎতারে মুখ খুললেন সুজয় ভদ্র। জবাব দিলেন তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগের। পাল্টা, তুললেন একাধিক প্রশ্ন। খোলসা করলেন, তাঁর কালীঘাট-কানেকশন। এই 'কালীঘাটের কাকু' শব্দবন্ধ প্রথমবার শোনা যায়, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত গোপাল দলপতির মুখে।
গোপাল দলপতির ধূসর ডায়েরি: অন্যদিকে জানা গিয়েছিল স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে তোলপাড়া ফেলে় দেওয়া ধূসর ডায়েরি, আসলে গোপাল দলপতির। এই চাঞ্চল্যকর দাবি করেন কুন্তল ঘোষ। তাপস মণ্ডলকে গ্রেফতারের দাবিও তুলেছেন তিনি। অন্যদিকে ইডি-র দাবি, শুধু চাকরি দেওয়া নয়, চাকরিহারা শিক্ষকদের মামলায় সাহায্য করতেও টাকা তোলার চেষ্টা করেছিলেন কুন্তল। তাঁর দুই অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছিল সাড়ে ৬ কোটি টাকা।