মেঘালয়: ২৭ ফেব্রুয়ারি মেঘালয় বিধানসভার ভোট। তার আগে আজ শেষ দফার প্রচারে রাজাবালা বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচনী সভা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সভায় রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বিধানসভা ভোটের আগে এই নিয়ে তৃতীয়বার মেঘালয়ে এলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেঘালয়ের মাটিতে দাঁড়িয়ে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার ডাক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।



ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায় নির্বিশেষে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'তৃণমূলই একমাত্র মেঘালয়ে উন্নয়ন করতে পারবে। এই সরকারকে বদলে দিন।'


চিকিৎসা নিয়ে তোপ:
চিকিৎসার প্রসঙ্গও তুলে আনেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। মেঘালয়ের সভা থেকে তিনি বলেন, 'এখন আপনাদের চিকিৎসা করতে হলে কলকাতা, গুয়াহাটি যেতে হয়। কেন মেঘালয়ে ভালো হাসপাতাল হবে না?'


প্রসঙ্গ কেন্দ্রীয় দল:
মমতার বক্তব্যে উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর প্রসঙ্গও। 'বাংলায় কথায় কথায় সেন্ট্রাল টিম পাঠায়, অত্যাচার করে। মেঘালয়ের সীমান্তে সীমান্তে গুলি চালায়। কখনও মেঘালয়ে গুলি চালায়, কখনও দুর্নাম রটিয়ে দেয়।'


মেঘালয় মূলত আদিবাসী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাস। সেখানকার সভা থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সপক্ষেও সওয়াল করেন তিনি। মমতা বলেন, 'আমি সব ধর্মস্থানে যাই। কারণ সবার সঙ্গে থাকাটাই আমাদের সবথেকে বড় ধর্ম।'


কংগ্রেসকে নিশানা:
ত্রিপুরায় মতোই মেঘালয়ের মাটিতে দাঁড়িয়েও কংগ্রেসকে নিশানা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, 'কংগ্রেসের এখানে ভোট চাওয়ার নৈতিক অধিকার নেই।' তুলেছেন এনআরসি প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, 'বিজেপির বিরুদ্ধেই আমাদের মূল লড়াই। বিজেপি এনআরসি, সিএএ চাপিয়ে দেয়। মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ঢুকে পড়ে।'           


বাংলায় চালু রাজ্য সরকারি প্রকল্পের প্রসঙ্গও তুলে আনেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'মেঘালয় চালাবে মেঘালয়ের মানুষ। পশ্চিমবঙ্গে মহিলারা লক্ষ্মীশ্রী পায়। মেয়েদের পড়াশোনার জন্য কন্যাশ্রী আছে। আমরা উত্তর-পূর্ব বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে চাই। ত্রিপুরায় নির্বাচনের নামে ভয় দেখিয়ে ভোট করেছে। একজোট হয়ে বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াই করুন। মেঘালয়ে তৃণমূল জিতলে বাংলা থেকে টিম পাঠিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পে সাহায্য় করব। মেঘালয়ে তৃণমূলকে জেতান, দিল্লি থেকে বিজেপিকে তৃণমূলই হঠাবে। এই দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারকে বদল করুন, তৃণমূল নতুন সকাল আনতে। এই কদিনে টাকা-পয়সা দিয়ে ভোট কিনে নিতে পারে। আবার ঘরে ঢুকে টাকা-পয়সা কেড়েও নিতে পারে।'          


আরও পড়ুন:  ‘খুন হয়ে যেতে পারি যে কোনও মুহূর্তে,’ আশঙ্কিত তৃণমূলের কাজল শেখ