কলকাতা: দেশজুড়ে একইরকম টিকাকরণ করতে হবে। টিকাকরণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গেল রাজ্য। টিকাকরণ নিয়ে একটিই নীতি নিক কেন্দ্র। রাজ্যগুলির মধ্যে কোনও বৈষম্যমূলক আচরণ নয়। কোভিড ভ্যাকসিনের দাম এবং ব্যবহারে অভিন্ন নীতি নেওয়া হোক। সুপ্রিম কোর্টে আবেদন রাজ্যের। 


ভ্যাকসিন অপ্রতুল বলে একাধিকবার জানিয়েছে রাজ্য সরকার। যার জেরে শুরু করা যায়নি ৩ দফার টিকাকরণও। এমনকী ভ্যাকসিনের ভিন্ন দাম নিয়েও সরব হয়েছে রাজ্য। এবার শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হল তারা। উল্লেখ্য, মূলত কোভিশিল্ড, কোভ্যাকসিন এবং স্পুটনিক-ভি টিকাকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গত মাসে কোভিশিল্ড প্রস্তুতকারী সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট জানায়, রাজ্যগুলির কাছে ৩০০ টাকা করে নেওয়া হবে প্রতি ডোজে। কোভ্যাকসিন জানিয়েছে, ৪০০ টাকায় ভ্যাকসিন কিনতে পারবে রাজ্য সরকার। 


ভোর থেকে লম্বা লাইন। বেলা বাড়তেই সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল জানিয়ে দিচ্ছে ভ্যাকসিন শেষ। যাঁরা ভ্যাকসিন নিতে যাচ্ছেন, তাঁদের অনেকেই পাচ্ছেন না ভ্যাকসিন। এমন একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে সারা রাজ্যে। এই আবহে রাজ্য সরকার জানিয়ে দিয়েছে প্রথম ডোজ নয়, অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে দ্বিতীয় ডোজকে। কিন্তু অনেক হাসপাতালে দ্বিতীয় ডোজ মিলছে না বলেও অভিযোগ। তাই এবার ভ্যাকসিন নীতি নিয়ে সরাসরি শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার।


এদিকে কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীকে পরপর দুদিন চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। গত বুধবার লেখা চিঠিতে শয্যা সংখ্যা বাড়াতে আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গে ১০ হাজার ডোজ রেমডিসিভির লাগবে প্রতিদিন।“  চিঠিতে ভ্যাকসিনের জোগান বাড়ানোর আবেদন করেন তিনি।  আজ ফের নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লেখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, 'রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৭০ মেট্রিক টন মেডিক্যাল অক্সিজেনের চাহিদা ছিল। আগামী ৭-৮ দিনে অক্সিজেনের দৈনিক চাহিদা ৫৫০ মেট্রিক টনে পৌঁছতে পারে। কাজেই এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের চাহিদামতো অক্সিজেন সরবরাহ করা হোক।


চলতি সপ্তাহের বুধবারই রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রের পাঠানো ১ লক্ষ কোভ্যাকসিন। আজ দুপুরের পর এসে পৌঁছয় আরও ৪ লক্ষ কোভিশিল্ড। কেন্দ্রের তরফে রাজ্যে এই পাঁচ লক্ষ ডোজ পাঠানো হচ্ছে। এর পাশাপাশি, রাজ্য সরকারও কোভ্যাকসিন এবং কোভিশিল্ড এই দু’ রকম ভ্যাকসিনের বরাত দিয়েছে। তবে তা এখনও রাজ্যে এসে পৌঁছয়নি।