কলকাতা: নতুন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হচ্ছেন প্রাক্তন মুখ্যসচিব তথ অবসরপ্রাপ্ত IAS অফিসার রাজীব সিন্হা (Rajiv Sinha)। তাঁর নাম আগেই সুপারিশ করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু দীর্ঘদিন তাতে সই করেননি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। এতদিনে সেই নামেই সিলমোহর দিল রাজভবন। নবান্নে সেই ফাইল পাঠিয়েও দেওয়া হয়েছে। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections 2023)। তার আগেই নতুন নির্বাচন কমিশনার পেল রাজ্য। বুধ অথবা বৃহস্পতিবারই দায়িত্ব গ্রহণ করবেন তিনি।


গত ২৮ মে-র পর থেকে রাজ্যে নির্বাচন কমিশনার ছিলেন না। কবে নতুন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার (WB Election Commissioner), আসবেন, তা নিয়ে উঠছিল প্রশ্ন। সেই নিয়ে রাজ্য এবং রাজভবনের মধ্যে সংঘাতও দেখা দেয়। রাজ্যপাল দ্বিতীয় এবং তৃতীয় নামও চেয়ে পাঠান বলে জানা যায়। প্রকাশ্যে তা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। যদিও রাজ্যপাল জানান, সঠিক সময়ই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।


রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয় গতমাসেই। তার পর থেকে রাজ্যে নির্বাচন কমিশনারের পদ খালি পড়েছিল। সেই নিয়ে বার বার প্রশ্ন ওঠে। রাজ্যের তরফে নাম পাঠানো সত্ত্বেও, রাজভবনের তরফে অনুমোদন মেলেনি বলে জানা যায়। শোনা যায়, রাজ্যপাল রাজীব ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি নাম চেয়ে পাঠান। তা-ও পাঠানো হয়। তার পরেও কেন গড়িমসি, তা নিয়ে মুখ খোলেন স্বয়ং মমতা। 


আরও পড়ুন: Coromandel Express: ভয়াবহতার রেশ কাটেনি এখনও, আজ ফের ট্র্যাকে ফিরছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস


রাজ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে সম্প্রতি তিনি বলেন, "পছন্দ না হলে ফাইল ফিরিয়ে দিন। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন আছে। আমি মাথা নিচু করছি না। কোনও বার সমস্যা হয়নি। এই প্রথম হল। আশাকরি শুভবুদ্ধির উদয় হবে।" এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া চাইলে রাজ্যপাল আবার বলেন, "সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।"


সংবিধান বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সংবিধানের ৩২৪(১) ধারায় নির্বাচন কমিশনকে রাজ্যে রাজ্যে বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচন পরিচালনার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সংবিধান সংশোধন হওয়ার পর ২৪৩-কে ধারায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেও পঞ্চায়েত এবং পুর নির্বাচন পরিচালনার জন্য একই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্য সরকারের প্রস্তাবিত নামে রাজ্য়পালের সম্মতি দেওয়াই প্রথা।


কিন্তু সে সব খাতায়-কলমেই। তাই এক্ষেত্রে রাজ্য় নির্বাচন কমিশনার কী ভূমিকা নিচ্ছেন, তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। যেমনটা মীরা পাণ্ডের ক্ষেত্রে হয়েছিল। ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্যসচিব পদে ছিলেন রাজীব সিনহা। এই মুহূর্তে শিল্প পরিকাঠামো উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি।