কলকাতা: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (West Bengal Governor CV Ananda Bose) বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানির অভিযোগের ঘটনায় রাজভবনের তিন কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) দায়ের করল পুলিশ। ইতিমধ্যে পুলিশের কাছে গোপন জবানবন্দী দিয়েছেন অভিযোগকারিণী। তার ভিত্তিতে রাজভবনের ওই তিন কর্মীর নামে এফআইআর দায়ের করল পুলিশ। শুক্রবার এই এফআইআরটি দায়ের করা হয়েছে।


মে মাসের প্রথমেই রাজভবনের একজন অস্থায়ী মহিলা কর্মী রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন। তাঁকে চাকরিতে স্থায়ীভাবে নিযুক্ত করার প্রলোভন দেখিয়ে রাজ্যপাল শ্লীলতাহানি করেছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। তারপরই এই বিষয় নিয়ে তোলপাড় হয়ে ওঠে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য রাজনীতি। এই ঘটনার তদন্তের জন্য রাজভবনের সিসিটিভি ফুটেজও চাওয়া হয় কলকাতা পুলিশের তরফে। কিন্তু, সেই সময় বিষয়টি কলকাতা পুলিশের এক্তিয়ারভুক্ত নয় বলে সাফ জানিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ দিতে অস্বীকার করে রাজভবন। রাজ্যপালের সাংবিধানিক রক্ষাকবচের কথাও উল্লেখ করা হয়।


আরও পড়ুন: Loksabha Elections 2024: বাড়িতে ভোট দেওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে মৃত বৃদ্ধা, ইচ্ছাপূরণে খুশি পরিবারের সদস্যরা


প্রথমে এই বিষয়ে মুখ না খুলে কেরলে চলে গেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনদিন বাদে সেখান থেকে ফিরে এই ঘটনার জন্য সোজাসুজি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নোংরা রাজনীতি করছেন বলেও দাবি জানান। তোপ দেগে বলেন, এই দিদিগিরি তিনি মানবেন না। 


পরে রাজভবনের তরফে জানানো হয় যে তারা যে দিন শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করা হচ্ছে সেই দিনের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আনবে। তবে পুলিশ ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ওই সিসিটিভি ফুটেজ তিনি দেখাবেন না বলেও জানান। কথা মতো নির্দিষ্ট সময়ে রাজভবনের তরফে ওই দিনের কিছুটা সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আনে। যা নিয়েও প্রচুর বিতর্ক হয়। শুক্রবার শ্লীলতাহানি ইস্যুতে রাজভবনের তিন কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল পুলিশ। যার খবর প্রকাশ পেতেই ফের শোরগোল শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: Suvendu on Mamata: 'আগে পায়ে ব্যান্ডেজ বেঁধেছিল এখন সেফটিপিন লাগিয়েছে', মমতাকে 'নাট্যকার' কটাক্ষ শুভেন্দুর