কলকাতা: আগামী দু-তিন ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যের তিন জেলায় বজ্র-বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলায় এই বজ্র-বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ঘণ্টায় ৪০ কিমি বেগে ঝড়ো হাওয়াও বইতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।


উল্লেখ্য, মৌসম ভবন সোমবার জানিয়েছিল যে, বিভিন্ন ঘূর্ণাবর্তের কারণে দেশের নানান অংশে আগামী কয়েকদিন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।  আইএমডি-র আবহাওয়ার পূর্বাভাস সংক্রান্ত বিভাগ জানিয়েছিল যে, দেশের দক্ষিণ উপদ্বীপের ওপর ঘূর্ণাবর্তের কারণে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপদ্বীপ অঞ্চলে আগামী চার-পাঁচদিন বিক্ষিপ্তভাবে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেইসঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত, ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে।


আইএমডি তামিলনাড়ুর দক্ষিণ ও ঘাট এলাকার কিছু স্থানে, কেরল, মাহে ও কর্ণাটকের উপকূলীয় ও অন্যান্য স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে ১৪ থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে।


পূর্বাভাস অনুযায়ী, আর একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে  মধ্যপ্রদেশের দক্ষিণ পশ্চিম ও পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে। এর প্রভাবে মধ্যপ্রদেশ, বিদর্ভ, তেলঙ্গানা, ছত্তিসগড়, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ও ওড়িশার কোনও কোনও জায়গায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি, বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি  হতে পারে আগামী ৪-৫ দিনে। সেইসঙ্গে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে জানানো হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গ লাগোয়া ঝাড়খণ্ডে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্য বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা সোমবার জানানো হয়েছিল।


আইএমডি আরও জানিয়েছিল যে, পশ্চিম হিমালয় ও সংলগ্ন অঞ্চলের আবহাওয়ায় আগামী ১৪-১৭ এপ্রিল প্রভাব ফেলতে পারে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। এরফলে পশ্চিম হিমালয় অঞ্চলে বজ্রবিদ্যুৎ ও দমকা হাওয়া সহ বিক্ষিপ্তভাবে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। সংলগ্ন সমতল অঞ্চলে ১৫-১৭ এপ্রিল এ ধরনের বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।


এ রাজ্যে এই সময় সাধারণত মাঝেমধ্যেই কালবৈশাখীর দেখা মেলে। গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যে চড়া তাপে তাপমাত্রায় নাজেহাল মানুষ। এখনও পর্যন্ত কলকাতা ও সন্নিহিত অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও দেখা মিলছে না বৃষ্টির। তীব্র গরম থেকে স্বস্তি পেতে এক পশলা বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে সবাই।