অমিত জানা, বেলদা (পশ্চিম মেদিনীপুর) : বাংলা আবাস যোজনায় এবার দুর্নীতির অভিযোগ উঠল বিজেপি পরিচালিত পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা ১ নম্বর পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। এনিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল। রাজ্যের শাসক দলের অভিযোগ, তালিকায় নিজের পরিবারের সদস্যদের নাম ঢুকিয়েছেন প্রধান। যদিও দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান।
বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নানা সময়ে সরব হয়েছে বিজেপি। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এরকম অভিযোগ তুলেছে। প্রতিবাদে বিক্ষোভ, অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে। কিন্তু, এবার একই অভিযোগে বিদ্ধ হল তারা নিজেরাই। বাংলা আবাস যোজনায় গরমিলের অভিযোগ উঠেছে বেলদা ১ নম্বর পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। এনিয়ে আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
তৃণমূলের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে, সরকারি আবাস যোজনার তালিকা তৈরির সময় নিজের পরিবারের কয়েকজন সদস্যের নাম ঢুকিয়েছেন প্রধান। তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি নিতাইচাঁদ জানা বলেন, প্রধান পুরোপুরি দুর্নীতিগ্রস্ত, সাধারণ গরিব মানুষের ক্ষেত্রে তাঁর ভাবনা নেই। অথচ শ্বশুর-শাশুড়ি, স্বামীর নাম তালিকায়, তাঁদের নাম পাওয়া গেছে। তার মানে এটা তিনি ইচ্ছাকৃতভাবেই করেছেন। প্রধানের পদত্যাগ করা উচিত।
যদিও এপ্রসঙ্গে বেলদা ১ নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান ও বিজেপি নেত্রী মধুমিতা প্রামাণিক সেনাপতি বলেছেন, সফটওয়্যার এর সমস্যা হতে পারে। আমরা সেটা খুঁজেই পাইনি। সমস্যা কোথায় সেটা আমরা ব্লকে জানতে চেয়েছি। পরিবারও যদি পাওয়ার যোগ্য হয় নাম থেকে থাকে তাহলে সে পাবে না কেন?
এবিষয়ে নারায়ণগড়ের বিডিও জানিয়েছেন, বাংলা আবাস যোজনার তালিকা খতিয়ে দেখা হবে। কোথাও ত্রুটি থাকলে সংশোধন করা হবে।
উল্লেখ্য, রাজ্যের অন্য প্রান্তে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু হওয়ার আগেই ফর্ম পূরণে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জলপাইগুড়ির ঘটনা। রাজগঞ্জ ব্লকের ভাণ্ডারিগঞ্জ গ্রামে তৃণমূল নেতার আত্মীয়ার টাকা নেওয়ার ছবি ভাইরাল হতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতার আত্মীয়া লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম ইন্টারনেটে ডাউনলোড করে বিক্রি করছেন। ফর্ম পূরণের জন্যও টাকা চাওয়া হচ্ছে।