ঝিলম করঞ্জাই: টিকা নেওয়ার বহুদিন পর করোনা আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্য হলে, কোন কোন অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়? ঠিক কী কারণে মৃত্যু হয় রোগীর? তা জানতে গবেষণা শুরু হল রাজ্যে। আজ আরজিকর হাসপাতালে করা হল এমনই এক ব্যক্তির মৃতদেহের প্যাথলজিক্যাল অটোপসি।
রাজ্যে পঞ্চম, কিন্তু প্রথম। মরণোত্তর দেহদান আন্দোলনের পথিকৃৎ ব্রজ রায়ের ময়নাতদন্ত দিয়ে যে কাজের সূচনা হয়েছিল, তা নতুন মাত্রা পেল শনিবার। কোভিডে আক্রান্ত পঞ্চম মৃত ব্যক্তির প্যাথলজিক্যাল অটোপসি বা রোগ নির্ণায়ক ময়নাতদন্ত হল আর জি কর হাসপাতালে। পরিবার সূত্রে খবর, দুই ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার দীর্ঘদিন পর কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ওই ব্যক্তি। সেই অর্থে এমন ব্যক্তির প্যাথলজিক্যাল অটোপসি রাজ্যে প্রথম।
মৃতের নাম, সত্যরঞ্জন দত্ত (৮২) বাড়ি, নৈহাটি। চলতি মাসে করোনা আক্রান্ত হন তিনি। ২২ তারিখ ভর্তি করা হয় এমআর বাঙুর হাসপাতালে। ২৮ তারিখ মারা যান। পরিবার সূত্রে খবর, করোনার ২টি ডোজ টিকা নেওয়ার দীর্ঘদিন পর করোনা আক্রান্ত হন তিনি।
মৃতের ছেলে বঙ্কিম দত্ত বলেন, বাবা মরণোত্তর দেহদানে যুক্ত হন। মানুষের যাতে কাজে লাগে প্যাথলজিক্যাল অটোপসি করা হল। বাবা ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন। ২ মাস আগে মারা যান। ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও কেন মারা গেলেন তা জানতেই করা হয়েছে ।
টিকা নেওয়ার বহুদিন পর করোনা আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্য হলে, কোন কোন অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঠিক কী কারণে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয় - তা নিয়ে গবেষণা শুরু হল রাজ্যে। চিকিত্সকদের আশা, এক্ষেত্রে দিশা দেখাবে প্যাথলজিক্যাল অটোপসি। আরজি কর হাসপাতালেপ ফরেন্সিক বিভাগের প্রধান সোমনাথ দাস বলেন, কোভিডে আক্রান্ত রোগীর প্যাথলজিক্যাল অটোপসি করা হল। এটা পঞ্চম।
গত ১৪ তারিখ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে, রাজ্যে অঙ্গদান আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃত ব্রজ রায়ের দেহের প্যাথলজিক্যাল অটোপসি হয়। হাসপাতাল সূত্রে দাবি, সেটাই ছিল পূর্ব ভারতে প্রথম কোনও কোভিডে মৃত ব্যক্তির প্যাথোলজিক্যাল অটোপসি। মৃত্যুর সঠিক কারণ কী, কোভিডের কারণে মৃতের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়েছে, প্যাথলজিক্যাল অটোপসির মাধ্যমে তা জানা সম্ভব। রবিবার পঞ্চম প্যাথলজিক্যাল অটোপসি হল আরজি কর-এ।