নয়া দিল্লি: কোভিড (Covid) পরিস্থিতি আয়ত্তে আসতেই লকডাউন (Lockdown), কোয়ারেন্টাইন, করোনা বিধি নিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছিল আগেই। তবে শেষ হয়েও যেন শেষ হল না করোনা (Coronavirus) প্রাদুর্ভাব। ফের বাড়ল অতিমারী তৈরি করা ভাইরাসের উপদ্রব। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে এই শীতেই ফের সংক্রমণে গতি বৃদ্ধি করবে করোনা। আগামী মাসের মধ্যে কয়েক লক্ষ প্রাণহানিরও সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে সংবাদসংস্থা রয়টার্স প্রকাশিত প্রতিবেদনে।
ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের মতে, করোনাভাইরাসের কারণে চিনে মোট মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫ হাজারের বেশি। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক চিনের সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতি-
- ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের মতে, সোমবারের পাঁচটি মৃত্যুর তুলনায় মঙ্গলবারে কোভিড সম্পর্কিত মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
- রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবার চিনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১০১ জন। আগের দিন আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৭২২ জন। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩ লক্ষের বেশি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে।
- বিজ্ঞানী এরিক ফেইগল-ডিং সোমবার এ বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেন, "আগামী ৯০ দিনের মধ্যে চিনে ৬০ শতাংশেরও বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হবে। বিশ্বের প্রায় ১০ শতাংশ মানুষও এবার প্রাথমিকভাবে আক্রান্ত হবেন। মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়বে।"
আমেরিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রাজিল, চিনে ফের অনেকটাই বেড়েছে করোনাভাইরাস। এই পরিস্থিতিতে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে ভারতেও। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের (Health Minister) তরফে চিঠি দিয়ে, সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে ফের মাস্ক বিধি ফিরিয়ে আনার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সামনেই বড়দিন এবং নতুন বছর উদযাপন রয়েছে। তার আগেই সতর্ক কেন্দ্র সরকার।
আরও পড়ুন, ফের বাড়ছে করোনা, বছর শেষের আগেই ফিরছে মাস্ক বিধি!
স্বাস্থ্য সচিবের দেওয়া চিঠিতে লেখা হয়েছে, ভাইরাসের চরিত্র বুঝতে জোর দিতে হবে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে। করোনার কোনও নতুন প্রজাতি এসেছে কিনা, তা খুঁজে বার করতে হবে। বুধবার সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সঙ্গে বৈঠক করবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। পাশাপাশি নীতি আয়োগের তরফে ভিকে পল বলেন, "আপনি যদি কোনও জমায়েতে যান তাহলে অবশ্যই মাস্ক পরুন। তা সে বাইরে হোক বা ভিতরে। কম বয়সি, বেশি বয়সির প্রশ্ন নয়, সকলেই এই নিয়ম মেনে চলুন।"