কলকাতা: শুক্রবারের রাত। ঘড়িতে তখন রাত ১০: ৫৫। হঠাৎ স্তব্ধ হোয়াটসঅ্যাপ। সার্ভার বিভ্রাট হল ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামেও। আর তার জেরে সমস্যায় পড়লেন দেশের কোটি কোটি গ্রাহক। শুধু ভারতই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এদিন হঠাৎ স্তব্ধ হয়ে যায়।


আর হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বন্ধ হতেই ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপে নির্ভরশীলতা বেড়েছে। তাই হঠাৎ হোয়াটসঅ্যাপ স্তব্ধ হয়ে যাওয়ায়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। ট্য়ুইটারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা। একের পর এক মিম শেয়ার করতে থাকেন ব্যবহারকারীরা। মেসেজ আদান প্রদান বন্ধ হওয়ায় সমস্যা পড়েন বিশ্বের বহু মানুষ। জানা গিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে প্রায় ৫০ লক্ষ ট্যুইট হয়েছে।


দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে হোয়াটসঅ্যাপ। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীর সংখ্যাও নেহাত কম নয়। এই অবস্থায় যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম স্তব্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন অনেকে। কী হয়েছে? কেন কাজ করছে না হোয়াটসঅ্যাপ? তা বুঝতেই বেশ কিছুটা সময় কেটে যায় গ্রাহকদের। একরকম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আর এই অবস্থায় হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা ট্যুইট করতে থাকেন। দেখা যায়, শুধু ভারতই নয়, বিশ্বের একাধিক প্রান্তেই এই সমস্যায় পড়েছেন গ্রাহকরা।


এদিন হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ ট্যুইট করে গ্রাহকদের ধন্যবাদ জানিয়েছে। তারা লিখেছে, আপনাদের ধৈর্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ৪৫ মিনিটের পর আমরা আবার ফিরে এসেছি।



বিশ্বজুড়ে হঠাৎ স্তব্ধ হোয়াটসঅ্যাপ! ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামেও পরিষেবা ব্যাহত! শুক্রবার রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে আচমকাই হোয়াটসঅ্যাপে তথ্য আদান-প্রদান বন্ধ হয়ে যায়। ভুক্তভোগী ভারত-সহ সমস্ত দেশের অসংখ্য গ্রাহক। পরিসংখ্যান বলছে, শুধুমাত্র ভারতেই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন প্রায় ৩৪ কোটি মানুষ। যা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে সার্ভারে সমস্যার জেরেই এই বিপত্তি তৈরি হয়। প্রায় ৪৫ মিনিট পরে রাত ১১টা ৪০ মিনিটে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।