নয়াদিল্লি: প্রাইভেসি পলিসি আপডেট নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নোটিসের জবাব দিল হোয়াটসঅ্যাপ। সোমবার কোম্পানি জানিয়েছে, নতুন পলিসি আপডেটে গ্রাহকের তথ্য গোপনীয়তায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
কদিন আগেই কোম্পানির ২০২১ সালের প্রাইভেসি পলিসি আপডেট নিয়ে প্রশ্ন তোলে কেন্দ্রীয় সরকার। 'মিনিস্ট্রি অফ ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি'-র তরফে হোয়াটসঅ্যাপের কাছে নোটিস পাঠানো হয়। যেখানে বিতর্কিত পলিসি তুলে নেওয়ার কথা বলে কেন্দ্র। এ বিষয়ে ২৫ মে-র মধ্যে উত্তর দিতে বলা হয় কোম্পানিকে। সোমবার যার উত্তর দিয়েছে দেশের জনপ্রিয় সোশ্যাল মেসেজিং অ্যাপ।
কোম্পানির মুখপাত্র জানিয়েছেন, সরকারি নোটিসের উত্তর দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। যেখানে বলা হয়েছে, নতুন প্রাইভেসি পলিসি আপডেটের ফলে কোনওভাবেই গ্রাহকের ব্যক্তিগত মেসেজের গোপনীয়তা ফাঁস হবে না। নতুন পলিসি কেবল গ্রাহককে অতিরিক্ত কিছু ইনফরমেশন দেবে। গ্রাহক চাইলেই কেবল এই অতিরিক্ত তথ্যের মাধ্যমে ব্যবসা সংক্রান্ত আরও সুবিধা বা সুযোগ পাবে। গ্রাহকের গোপনীয়তায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ।
এই বলেই থেমে থাকেননি হোয়াটসঅ্যাপের মুখপাত্র। তিনি জানান, আাগামী সপ্তাহগুলিতে কোম্পানি তার কার্যকারিতার জায়গা সীমাবদ্ধ করবে না। পরিবর্তে সময়ে সময়ে আপডেটের বিষয়ে গ্রাহককে জানাবে কোম্পানি। অপশনাল ফিচার পেতে তাদের কী করতে হবে, তা জানিয়ে দেবে সংস্থা। পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন আইন না আসা পর্যন্ত এই কাজ করে যাবে কোম্পানি।
সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপকে পাঠানো বার্তায় 'মিনিস্ট্রি অফ ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি' বলেছে, ২০২১ সালের প্রাইভেসি পলিসি প্রত্যাহার করুক কোম্পানি। এর মাধ্যমে ভারতীয় নাগরিকের স্বার্থ ও অধিকার লঙ্ঘিত হবে। সবথেকে বড় বিষয়, তাদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত থাকবে না। দিল্লি হাইকোর্টেও হোয়াটসঅ্যাপের বিরুদ্ধে এই একই বক্তব্য রেখেছে সরকার।
হোয়াটসঅ্যাপকে পাঠানো নোটিসে ভারতীয়দের সঙ্গে ইউরোপীয় গ্রাহকদের বৈষম্যের কথা উল্লেখ করেছে কেন্দ্র। সেখানে বলা হয়েছে, বহু ভারতীয় নাগরিক হোয়াটসঅ্যাপের ওপর নির্ভরশীল। তাঁরা প্রতিদিন এই সোশ্যাল মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করেন। তাদের কাছে এই নতুন প্রাইভেসি পলিসি সমস্যার সৃষ্টি করবে। নতুন প্রাইভেসি পলিসি আপডেটের কথা বলে ভারতীয় গ্রাহকদের ওপর অন্যায্য শর্তাবলী চাপিয়ে দিয়েছে কোম্পানি। যদিও ইউরোপীয় গ্রাহকদের ক্ষেত্রে এই কাজ করা হয়নি।