নয়াদিল্লি: আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগামী মাসের মধ্যে মিলবে করোনা ভ্যাকসিন। এমনটাই জানাচ্ছেন এইমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। তাঁর কথায়, "২ করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে আছে। জানুয়ারি ২০২১-এর মধ্যে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিন ব্যবহার করা যাবে। ইতিমধ্যে ফাইজারকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।"

আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় দিনকয়েক আগে ফাইজারকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ব্রিটেনে। এই অবস্থায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষে ভারতেও ভ্যাকসিন মিলবে খুব তাড়াতাড়ি। রিপোর্ট অনুযায়ী, কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইন্টেগ্রেটিভ মেডিসিনের পক্ষ থেকে রাম বিশ্বকর্মা বলেন, ভারতে আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার বিষয়টির সঙ্গে ব্রিটেন, আমেরিকার মিল আছে। তাঁর কথায়, নিয়ামক সংস্থা ফাইজারের তথ্য়ে সন্তুষ্ট হলে কয়েকদিন বা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভারতেও ফাইজার ব্যবহার করা হতে পারে। একইসঙ্গে প্রয়োজন হলে নিয়ামক সংস্থা আরও বেশি পরীক্ষা করতে পারে ভারতে।

এইমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া কোভিড-১৯ ম্যানেজমেন্ট টিমের সদস্য। তাঁর কথায় ‘সিরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন জানুয়ারি ২০২১-এর মধ্যে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ব্য়বহার করা যাবে।’ যদিও এর আগে তিনি বলেছিলেন, ২০২২-এর আগে করোনা ভ্যাকসিন সাধারণ মানুষের জন্য পাওয়া যাবে না। ভারতের বাজারে ভ্যাকসিন মিলতে এক বছরের বেশি সময় লাগবে। ভারতে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমতি দেওয়া হলে কিছু সময়ের জন্য সমস্যার মোকাবিলা করা যাবে। সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে অনুমতি পেতে গেলে ভ্যাকসিনের প্রভাব, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে হবে নিয়ামক সংস্থাকে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার সর্বদল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বাজারে আসবে করোনা ভ্যাকসিন। তিনি জানিয়েছেন, টিকাকরণের ক্ষেত্রে শুরুতে স্বাস্থ্যকর্মীদেরই প্রাধান্য দেওয়া হবে। কোভিড পজিটিভ বয়স্ক মানুষ যাঁদের গুরুতর কোমর্বিডিটিও রয়েছে, তাঁদেরকে প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে কারা প্রথমে টিকা পাবে, তা কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলির মধ্যে আলোচনার মাধ্যমেই স্থির হবে।