শুধু পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বা খেলোয়াড়রা নন, কৃষকদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন দিলজিৎ দোসা়্ঞ্জ, গিপ্পি গ্রেওয়াল, আম্মি ভিরকের মতো গায়করাও। কিন্তু কৃষক বিক্ষোভে সমর্থন জানানো তো দূর অস্ত, বরং সমালোচনায় সরব হয়েছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। এই আন্দোলনের সঙ্গে কৃষক স্বার্থ নয় রাজনৈতিক স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। এমনকি এই আন্দোলনের এক বৃদ্ধা একশো টাকার বিনিময়ে এমন প্রতিবাদীদের পাওয়া যায় বলেও মন্তব্য করেছিলেন মণিকর্ণিকা অভিনেত্রী। গত সপ্তাহে প্রকাশিত হয়েছে চলতি অর্থবর্ষে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের আর্থিক বৃদ্ধির ফলাফল। দেখা যাচ্ছে গত অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের তুলনায় এবারের এই সময়ে ৭.৫ শতাংশ সংকোচন হয়েছে অর্থনীতির। একমাত্র কৃষি ক্ষেত্র ৩.৪ শতাংশ বৃদ্ধির সাক্ষী। বিজেন্দর বলেছেন, এই ক্ষেত্রের বৃদ্ধি দেখেই ব্যবসায়ীরা এগিয়ে আসছেন। কৃষি ক্ষেত্র থেকে লাভ করতে চাইছেন। অথচ কৃষকেরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কৃষকরা নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য লড়ছেন। তাঁরা সরকারের বিরুদ্ধে ল়ড়ছেন না। কিন্তু সরকার সে দিকে কর্ণপাত করছে না। . বলিউডের মেরুদণ্ড নেই, পঞ্জাবি শিল্পীদের দেখে শিখুক, কৃষক আন্দোলন প্রসঙ্গে বক্সার বিজেন্দর সিংহ
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ | 05 Dec 2020 11:46 AM (IST)
শুধু পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বা খেলোয়াড়রা নন, কৃষকদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন দিলজিৎ দোসা়্ঞ্জ, গিপ্পি গ্রেওয়াল, আম্মি ভিরকের মতো গায়করাও।
নয়াদিল্লি: কৃষক আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলিউড তারকাদের আক্রমণ করলেন অলিম্পিকে পদকজয়ী বক্সার বিজেন্দর সিংহ। বলিউডের মেরুদণ্ড নেই বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। তাঁর মন্তব্য, বলিউড শিক্ষা নিক পঞ্জাবের শিল্পী-খেলোয়াড়দের দেখে। তিন কৃষি আইনের প্রতিবাদে পথে নেমেছেন কৃষকরা। হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে দিল্লি সীমানায় গত কয়েকদিন ধরে টানা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। কেন্দ্রের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকে কোনও সমাধান সূত্র এখনও বেরোয়নি। কৃষি আইন নিয়ে মোদি সরকারের এই মনোভাবের প্রতিবাদ জানিয়ে পদ্মবিভূষণ সম্মান ফিরিয়ে দিয়েছেন পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিংহ বাদল। পদ্মশ্রী সম্মান সহ পদক ফেরানোর কথা ঘোষণা করেছেন পঞ্জাবের আরও ৩০ জন খেলোয়াড়। ঠিক এই সময়ে কৃষকদের প্রতিবাদে সমর্থন জানিয়ে বলিউডের সমালোচনায় সরব হয়েছেন বক্সার বিজেন্দর সিংহ। তিনি বলেছেন, ২০১৪ সালে যখন তেলের দাম আকাশছোঁয়া ছিল, তখন অমিতাভ বচ্চন, অক্ষয় কুমার তৎকালীন সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। অথচ এখন যখন দেশের কৃষকরা প্রতিবাদে নেমেছেন, তখন তাঁদের আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। যখন জেএনইউয়ের ছাত্রদের মারধর করা হল, শাহিনবাগে প্রতিবাদ আন্দোলন চলল তখনও তাঁরা মুখে কুলুপ এঁটে বসেছিলেন। বলিউডে মেরুদণ্ডের অভাব রয়েছে। এটাই সুযোগ অন্য শিল্পীদের কাছ থেকে শেখার।