কলকাতা: গত সপ্তাহে সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ২০২৪ সালের বার্ষিক অধিবেশন। সেখানেই প্রথম ডিজিজ এক্স নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বিশ্বের তাবড় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। ১৮ তারিখের অধিবেশনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানও এই অজানা রোগ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। অধিবেশনের পর আলাদা করে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি বিস্তারিত পোস্টও করলেন হু-এর প্রধান টেড্রস অ্যাঢানম ঘেব্রেইসুস।


কী বললেন হু প্রধান ?


কোভিডের থেকেও মারাত্মক হতে চলেছে ডিজিজ এক্স। ২০ গুণ বেশি ভয়ঙ্কর হতে পারে এই অজানা রোগের প্যাথোজেন। অধিবেশনে এমনটাই জানিয়েছিলেন টেড্রস। নিজের এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে তিনি লেখেন - ডিজিজ এক্স আবার বিশ্বজুড়ে আরেকটি জরুরি অবস্থার কারণ হতে পারে। ইতিহাস শিক্ষা দিয়েছে, আমরা যেন আগাম বিপদের আন্দাজ করতে পারি। তা করতে ব্যর্থ হলে ঠিক সময়ে বিশ্বই প্রস্তুত থাকবে না। টেড্রস তার পোস্টে লেখেন, তিনি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের অধিবেশনে এই নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন। পাশাপাশি ডিজিজ এক্স-কে ঠেকাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগের কথাও অধিবেশনে বলেন হু প্রধান। 


গোটা বিশ্বের ‘কমন এনিমি’


ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বক্তৃতায় টেড্রস এই ভাইরাসকে গোটা বিশ্বের ‘কমন এনিমি’ বা সাধারণ শত্রু হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি মনে করিয়ে দেন, করোনার সময় বিশ্ব অসংখ্য মানুষকে হারিয়েছে। তাদের হয়তো বাঁচিয়ে ফেরানো যেত। কিন্তু কোনও উপায় ছিল না সেই সময়। কখনও দেখা গিয়েছে, রোগীকে বাঁচানোর জন্য দরকারি অক্সিজেনটুকুরও অভাব। জরুরি অবস্থা এলে কীভাবে মোকাবিলা করা হবে, সেই নিয়েও প্রশ্ন রাখেন তিনি।


তবে এর পাশাপাশি রোগের মোকাবিলা করতে তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন। বেশি আয়ের দেশগুলি নিজেদের দেশে টিকা তৈরি করতে পারছে। কিন্তু অন্যদের পক্ষে তা সম্ভব না। তাই দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি টেকনোলজি ট্রান্সফার হাব তৈরি করেছে হু। স্থানীয় উৎপাদন বাড়াতেই এটি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।


এক্স রোগ কেন ভয়ের ?


কারণ এক্স রোগের প্যাথোজেন অর্থাৎ দায়ী জীবাণুর চরিত্র বিজ্ঞানীদের কাছে এখনও অজানা। সে কারণেই একে ডিজিজ এক্স বলা হচ্ছে। হু-এর মতে, এই রোগটি ছত্রাক, ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে। কিন্তু নির্দিষ্ট প্যাথোজেনটির খোঁজ না পেলে ওষুধ বা টিকা তৈরি করা মুশকিল। আর তাই রোগটি ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। কোভিডের থেকেও বিপজ্জনক হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীরা।


আরও পড়ুন - Diabetes management: সুগার রোগীদের জন্য দারুণ সুখবর! এই চকোলেট খেলেই রোজ সুস্থ থাকবে শরীর