বেঙ্গালুরু: শনিবার গভীর রাতে চাঁদে অবতরণ করবে চন্দ্রযান ২। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে ‘সফট ল্যান্ডিং’। এই প্রথম ভারতীয় কোনও মহাকাশযান চাঁদের মাটি ছোঁবে। আর এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে ইসরোর মিশন কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর তাঁর পাশে থাকবেন নয়ডার দশম শ্রেণির এক পড়ুয়া-- নাম শিবাংশ পাল।
কে এই কিশোর? জানা গিয়েছে, নয়ডার অ্যামিটি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র শিবাংশ হল দেশের ৭৪ স্কুল-পড়ুয়ার একজন, -- যে শনিবার চন্দ্রযান ২-এর ‘সফট ল্যান্ডিং’ সরাসরি চাক্ষুষ করার জন্য ইসরোর তরফে আমন্ত্রণ পেয়েছে। বেঙ্গালুরুতে ইসরো ট্র্যাকিং সেন্টার (ইসট্র্যাক) কেন্দ্র থেকে ওই পড়ুয়ারা ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী থাকবে।
ইসরোর আয়োজিত একটি ক্যুইজ প্রতিযোগিতা থেকে এই পড়ুয়াদের নির্বাচিত করা হয়। বৈজ্ঞানিক কর্মকাণ্ডকে পড়ুয়াদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে ওই ক্যুইজের আয়োজন করে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। জানানো হয়, প্রতি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নির্বাচিত পড়ুয়াদের সুযোগ দেওয়া হবে ইসরো-র সদর দফতরে বসে লাইভ চন্দ্রযান ২ অবতরণ দেখার।
কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছিল, ওই দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে এই দৃশ্য লাইভ দেখার সৌভাগ্য পাবে হাতে গোনা কয়েকজন পড়ুয়াই। অষ্টম থেকে দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরাই এই ক্যুইজে অংশগ্রহণ করতে পারবে বলে জানায় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। কেন্দ্র সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন-এর কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়, স্কুলগুলো যেন পড়ুয়াদের এই ক্যুইজে অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করে।
প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে পড়ুয়াদের সবচেয়ে কম সময়ে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে হয়েছে। যারা সেই মাপকাঠিতে উতরেছে, তাদেরকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত শিবাংশ। সে জানিয়েছে, বড় হয়ে সে অ্যাস্ট্রফিজিসিস্ট হতে চায়।