নয়া দিল্লি: মঙ্গলবার করোনাভাইরাসের ওমিক্রন প্রজাতির যে উপপ্রজাতি রয়েছে তা নিয়ে নয়া সতর্কবার্তা জারি করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হু-এর প্রধান বলেন, ওমিক্রন সাবভেরিয়েন্ট BA.2 সম্ভবত 'অরিজিনাল' এর মতোই গুরুতর। মঙ্গলবার হু এর তরফে বলা হয়েছে করোনাভাইরাস সতর্কতা এখনও তুলে নেওয়া উচিত নয়। নিয়ম শিথিল করতে আগ্রহী দেশগুলিকে সতর্ক করেছে হু-প্রধান। ওমিক্রন এখনও অনেক দেশের গ্রাফ শীর্ষে ওঠেনি।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস বলেন, "যে কোনও দেশের পক্ষে করোনার বিরুদ্ধে বিজয় ঘোষণা করার সময় নয় এখনই। এই ভাইরাসটি বিপজ্জনক। এটি আমাদের চোখের সামনে বাড়ছে ক্রমশ। WHO বর্তমানে চারটি উপ-প্রজাতির উপর নজর রাখছে। Omicron ভেরিয়েন্ট, BA.2 সহ আরও অনেক প্রজাতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে।" 


বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন  অনেকেই মনে করেছিলেন, এর পর কোভিড নেহাতই ইনফ্লুয়েঞ্জা হয়ে থেকে যাবে। বছর বছর এতে আক্রান্ত হবেন মানুষ। খুব মারাত্মক কিছু হবে না। কিন্তু ওমিক্রনের নতুন প্রজাতির চালচলন অন্য কথাই বলছে। গবেষকরা মনে করছেন, ওমিক্রন সংক্রমণ কারও হয়ে গেলেই যে সে ওমিক্রনের নতুন প্রজাতি দ্বারা আর আক্রান্ত হবেন না, তা কিন্তু নয়। অর্থাৎ নিজের নতুন প্রজাতি থেকে রক্ষাকবচ তৈরিতে সক্ষম হয়নি ওমিক্রন। টিকা নিলে এই নতুন প্রজাতির হাত থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি মিলবে। আক্রান্ত হলেও উপসর্গ কম থাকবে। বুস্টার ডোজ নিলে সংক্রমণের সম্ভাবনা কমবে আগের থেকে এক–তৃতীয়াংশ। যদিও ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার পর শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হবে, তা নতুন প্রজাতিকে ঠেকাতে পারবে না। সান ফ্রান্সিসকোর ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষক একথা জানিয়েছেন। 


দেখা গিয়েছে, ওমিক্রনের ‘বিএ.২’ ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত কমপক্ষে ৩৯% মানুষ পরিবারের বাকিদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াচ্ছেন। ওমিক্রনের আগের সংস্করণের ক্ষেত্রে যা ছিল ২৯%। যদিও এই রিপোর্টিরও বিস্তারিত পর্যালোচনা বাকি।এখনও এই গবেষণার ‘পিয়ার রিভিউ’ বা পর্যালোচনা বাকি তা সত্ত্বেও এতে গুরুত্ব দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা। পাশাপাশি ওমিক্রনের সেকেন্ড জেনারেশন ভেরিয়েন্ট হিসাবে পরিচিত ‘বিএ.২’ নিয়েও ডেনমার্কের ইউনিভার্সিটি অব কোপেনহাগেন-এর একটি রিপোর্ট কপালে ভাঁজ ফেলেছে তাঁদের।