নয়াদিল্লি: ১৫ অক্টোবর। বিশ্বজুড়ে পালিত হয় ছাত্র দিবস।প্রয়াত বিজ্ঞানী তথা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামকে শ্রদ্ধা জানাতেই আজকের এই দিনটিকে এভাবে পালন করা হয়ে থাকে। তিনি শুধু একজন বিজ্ঞানী বা রাজনীতিবিদ ছিলেন না, ছাত্র জীবনের উপর বরাবর গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন। মনে করতেন, বিশ্বে ভাল ভবিষ্যত গড়তে পারে ছাত্ররাই। ছাত্রদের অবদানে তৈরি হয় সুঠাম, সুষ্ঠু সমাজ। ছাত্রদের প্রতি তাঁর ভালবাসাকে সম্মান জানাতে ২০১০ সাল থেকে রাষ্ট্রপুঞ্জ কালামের জন্মদিনকে বিশ্ব ছাত্র দিবস হিসেবে পালন করে থাকে।
কেন তাঁর জন্মদিনকে ছাত্র দিবস হিসেবে পালন করা হয়?
কালাম বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। আরও বড় কথা যে ভূমিকাতেই তাঁকে দেখা যাক না কেন, তিনি ছিলেন বিতর্কের ঊর্ধ্বে। শিক্ষক হিসেবে তিনি ছিলেন এক অনুপ্রেরণামূলক চরিত্র। ছাত্র সমাজের প্রতি তাঁর অগাধ আস্থা ছিল। কালাম মনে করতেন, ছাত্র সমাজের প্রগাঢ় জ্ঞান দেশ গঠনে সাহায্য করে। ছাত্র সমাজকে তিনি এতটাই মূল্য দিতেন যে, রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন সময়ে বহুবার ছাত্রদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছেন। সম্মান করতেন শিক্ষকদের।তিনি বিশ্বাস করতেন সুষ্ঠু সমাজ গঠনের মূল কারিগর শিক্ষক সম্প্রদায়। এমনকী নবীন প্রজন্মের সঙ্গে কথোপকথনের ভিত্তিতে তিনি একাধিক বই লিখেছিলেন। তাঁর মধ্যে পাঠকমহলে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে, ইগনাইটেড মাইন্ডস।
কালামের এই অমোঘ অবদানের জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জ ২০১০ সালে তাঁর জন্মদিনকে বিশ্ব ছাত্র দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ২০০২ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছর রাষ্ট্রপতি পদে ছিলেন কালাম। ২০১৫ সালে মারা যান। রাজনীতিবিদ হোন বা রাষ্ট্রপতির ভূমিকা, তাঁর নিজের কাছে সবচেয়ে প্রিয় ছিল শিক্ষকতা। ২০১৫ সালে তাঁর মৃত্যুর বছরে ভারী সুন্দর কথা বলেছিলেন কালাম। কাজপাগল কালাম বলেছিলেন, ’’আমি যেদিন মারা যাব, সেদিনটা বাড়তি ছুটি হিসেবে ঘোষণা না করে, বরং একটা বাড়তি দিন কাজ করবেন।‘‘
আপাদমস্তক ভদ্রলোক মানুষটি ছাত্রাবস্থা ও শিক্ষকতার জীবনে ফিরে যেতেন বারবার। সবুজ, সতেজ মনকে ধরে রাখতেন।