নয়াদিল্লি: কাশ্মীরের ওপর নজর রাখছেন, চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মন্তব্যের পর ভারতের প্রতিক্রিয়া তেমন কড়া হয়নি বলে অনুযোগ করে কংগ্রেস বলল, কেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দেশের বিদেশমন্ত্রক তাঁকে সোজাসুজি বলতে পারল না, তারাও চিনের ভিতরকার সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর ওপর নজর রাখছে! কংগ্রেস নেতা তথা আনন্দপুর সাহিবের এমপি মনীশ তেওয়ারি ট্যুইট করেছেন, শি জিনপিং বলেছেন, কাশ্মীরের ওপর তাঁর নজর রয়েছে। কিন্তু কেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর বা বিদেশমন্ত্রক বলল না, আমরাও হংকঙের গণতন্ত্রকামী প্রতিবাদ বিক্ষোভ লক্ষ্য করছি, যাকে দমনপীড়ন করা হচ্ছে, জিনজিয়াঙে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ওপর নজর রাখছি, তিব্বতে লাগাতার অত্যাচার, নির্যাতন ঘটতে দেখছি, দক্ষিণ চিন সাগরেও আমাদের দৃষ্টি রয়েছে?


তেওয়ারি আরেকটি ট্যুইটে কেন্দ্রের এনডিএ সরকারকে নিশানা করে বলেন, সবাই পাকিস্তানের কব্জা থেকে পাক অধিকৃত কাশ্মীর, গিলগিট-বালটিস্তান ফেরত্ নেওয়ার কথা বলছে, কিন্তু শাসক জোটের একজনেরও এটা বলার হিম্মত নেই যে, আমরা চিনের দখল থেকে আকসাই-চিন ছিনিয়ে নেব, যা ১৯৬৩ সালে ওদের হাতে বেআইনি ভাবে তুলে দিয়েছিল পাকিস্তান। দেশের প্রধানমন্ত্রী শি-র সামনে আকসাই চিন ফেরত দেওয়ার দাবি করবেন কি?


গতকালই পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠকে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আশ্বাস দেন, চিনের কাশ্মীরের পরিস্থিতির দিকে খেয়াল আছে। চিনা সরকার নিয়ন্ত্রিত চায়না গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক তাঁকে উদ্ধৃত করে আরও বলে, পাকিস্তানের ন্যয্য স্বার্থরক্ষার প্রশ্নে চিন তার পাশে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ শান্তিপূর্ণ আলোচনার রাস্তায় সমস্যা মিটিয়ে নেবে বলেও আশা করে চিন।
শি-র পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে আলোচনার কথা জানার পর গতকালই তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়ে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রভিশ কুমার বলেন, শি ও খানের বৈঠক সংক্রান্ত খবর আমাদের নজরে এসেছে। খবরে কাশ্মীর নিয়ে আলোচনার কথাও আছে। ভারতের বরাবরের স্পষ্ট, ধারাবাহিক অবস্থান হল, জম্মু ও কাশ্মীর তার অবিচ্ছেদ্য অংশ। চিন এই অবস্থান ভাল করেই জানে। ভারতের ঘরোয়া ব্যাপারে অন্যদের মন্তব্য করার কথাই নয়।