ইকুয়েডর: স্বামী- জুলিও সিজার মোরা তাপিয়া, বয়স-১১০ বছর। স্ত্রী- ওয়ালড্রামিনা ম্যাকলোভিয়া কুইনটেরস বয়স-১০৪ বছর। দুজনের বয়স যোগ করলে সংখ্যাটা দাঁড়ায় ২১৪ বছর। দিনের হিসেব ধরলে দম্পতির বয়স আরও ৩৫৮ দিন বেশি।
সম্প্রতি, গিনিস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা করেছেন তাঁরা। বিশ্বের প্রবীণতম দম্পতির মুকুট এখন তাঁদের দখলে। দাম্পত্যের বয়স ৭৯ বছর। জুলিও সিজার এবং ওয়ালড্রামিনার পরিচয় ১৯৩৪ সালে। স্কুলে পড়াতেন ওয়ালড্রামিনা। স্কুল ছুটির সময় একবার বোনের বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখানেই জুলিও সিজারের সঙ্গে তাঁর আলাপ। আলাপ থেকে সম্পর্ক।
ওয়ালড্রামিনার রূপে মুগ্ধ হন জুলিও। অন্যদিকে, জুলিওর ব্যক্তিত্ব আকৃষ্ট করে ওয়ালড্রামিনাকেও। ওয়ালড্রামিনা জানিয়েছেন, ওর(জুলিও) মনটা ছিল তারুণ্যে ভরপুর। মাঝেমধ্যেই কবিতা শোনাতেন। সাহিত্যের প্রতি ভালবাসা, পড়াশোনার প্রতি টান এসব তাদের বন্ধুত্বের উপকরণ হয়ে ওঠে।
সময়ের হাত ধরে সে বন্ধুত্ব গড়ায় প্রেমে। একে অপরকে ছেড়ে থাকা যে সম্ভব নয়, তা বুঝতে পারেন। কিন্তু পরিবারের সম্মতি ছিল না। কিন্তু কথায় বলে না "মিঞা বিবি রাজি তো কেয়া করে গা কাজি"! ফলে জীবনসঙ্গী হিসেবে পথ চলার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন জুলিও ও ওয়ালড্রামিনা। ১৯৪১ সালে লুকিয়ে বিয়ে করেন।
দীর্ঘ পথ চলার সবটাই মধুর ছিল না। আর পাঁচ জনের মতো তাদের জীবনেও ঝড়-ঝাপটা এসেছে। চড়াই-উতরাই পেরিয়েছেন একসঙ্গে। বিশ্বাস রেখেছেন একটাই মন্ত্রে। তা হল ভালবাসা। এটাই জুলিও সিজার এবং ওয়ালড্রামিনার পথ চলার মূল শক্তি।