সৌভাগ্যক্রমে সেই বিমানের যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন এক মহিলা ডাক্তার। তাঁর সহায়তায় বিমানের কর্মীরা নির্বিঘ্নে পুত্রসন্তান প্রসব করান। বিমান ছাড়ার ঘন্টাখানেক বাদে মহিলার প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরা দ্রুত কয়েক মিনিটের মধ্যেই একটি মিনি হাসপাতাল বানিয়ে ফেলেন বলে জানিয়েছেন বিমানের প্রভু স্টাভারমাথ নামে এক যাত্রী। কিছুক্ষণের উত্তেজনা, উত্কণ্ঠার অবসান শেষে সন্ধ্যা ৬টা ১০ এ জন্ম হয় বাচ্চাটি। মাঝ আকাশেই হয় সেলিব্রেশন। ভদ্রমহিলার বিমানের সহযাত্রীরাও পরে জানান, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে পৌঁছনো ওই বিমানে একটি শিশুসন্তানের জন্ম হয়েছে। ক্রু মেম্বারদের সদ্যভূমিষ্ঠ বাচ্চাটিকে কোলে নেওয়ার ছবিও তারা শেয়ার করেছে সোস্যাল মিডিয়ায়। তা ভাইরালও হয়েছে প্রত্যাশিতভাবেই। গর্ভবতী মহিলাকে সুরক্ষার সঙ্গে সন্তানের জন্ম দিতে সাহায্য করায় ইন্ডিগোর ক্রু মেম্বারদের প্রশংসা, সুখ্যাতিও করা হয়েছে সোস্যাল মিডিয়ায়।
একটি সূ্ত্রের খবর, আকাশে জন্মানো বাচ্চাটির জন্য একটি লাইফটাইম ফ্রি টিকিট পুরস্কার হিসাবে ঘোষণা করেছে ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স। সে নিখরচায় বিমান চড়তে পারবে।
বিমান বেঙ্গালুরু পৌঁছলে মা, বাচ্চাকে বিমানবন্দরের ভিতরেই চিকিত্সা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় প্রাথমিক চেক আপের জন্য। তবে তার আগে গোটা ইন্ডিগো টিম তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। বিমানটি বেঙ্গালুরু নামার পরও মা ও সদ্যভূমিষ্ঠ বাচ্চাটিকে সাড়ম্বরে অভ্যর্থনা দেওয়া হয়। দুজনেই পুরোপুরি সুস্থ আছে এবং বাচ্চাটির স্বাভাবিক পদ্ধতিতে জন্ম হওয়ার সময় বিমানের সব কাজকর্ম, অপারেশন মসৃণ ভাবেই হয়েছে বলে জানিয়েছে বিমান সংস্থাটি।
এ নিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় টুকরো টাকরা মজার মন্তব্যও ভাইরাল হয়েছে। কেউ কেউ প্রশ্ন করেন, বাচ্চাটা কি আজীবনের জন্য নিখরচায় বিমান চড়ার টিকিট পাবে। আবার কেউ ট্যুইট করেন, ও জানতে চাইছে তার মধ্যে কি ফ্রি ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইটের সুবিধাও থাকবে? আরেকজন বলেন, আশা করি ইন্ডিগো এজন্য় জেট বা কিংফিশারের মতো দেউলিয়া হয়ে যাবে না!