নয়াদিল্লি: উত্তরপ্রদেশের হাথরসের নির্যাতিতা সম্পর্কে কুরুচিকর এবং অবমাননামূলক মন্তব্যের অভিযোগে স্থানীয় বিজেপি নেতা রঞ্জিত শ্রীবাস্তবকে নোটিস দিল জাতীয় মহিলা কমিশন। আগামী ২৬ অক্টোবর সকাল ১১টার মধ্যে উপযুক্ত ব্যাখ্যা-সহ রঞ্জিতকে জবাব দিতে বলেছে কমিশন। অভিযোগ, তিনি ১৯ বছরের মেয়েটিকে ‘আওয়ারা’ অর্থাত্ ‘যত্রপত্র ঘুরে বেড়ানো মেয়ে’ বলে কটাক্ষ করেছেন।
হাথরস-কাণ্ডের পর অভিযুক্তদের পক্ষে লাগাতার সওয়াল করে চলেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতারা। বরাবাঁকির বিজেপি নেতা রঞ্জিতের মন্তব্যে ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। একটি টেলিভিশন চ্যানেলে তিনি বলেছেন, ’’ওই তরুণীর সঙ্গে অভিযুক্তদের সম্পর্ক ছিল। ওই তরুণীই নিশ্চয় অভিযুক্তদের খেতে দেখা করতে বলেছিল। এই ধরনের মেয়েরা আখ বা বাজরা খেতেই বা জঙ্গলেই মারা যায়।‘‘ তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, ’’ওদের দেহ কেন ধান বা গম খেতে পাওয়া যায় না?‘‘ এখানেই থেমে থাকেননি ওই বিজেপি নেতা। অভিযুক্তদের পক্ষে সওয়াল করে তাদের মুক্তির দাবিও তুলেছেন তিনি। রঞ্জিতের যুক্তি, অভিযুক্তরা নির্দোষ। যতদিন না সিবিআই মামলার চার্জশিট দিচ্ছে, ততদিন অভিযুক্তদের ছেড়ে দেওয়া হোক। কারণ, ধৃতদের উপর মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে। রঞ্জিত প্রশ্ন তুলেছেন, অভিযুক্তদের যৌবন হারিয়ে গেলে তা কি আর তারা ফিরে পাবে!
রঞ্জিতের এহেন বক্তব্য নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা। বলেছেন, ’’উনি কোনও দলেরই নেতা হওয়ার যোগ্য নন।‘‘ এ দিকে প্রশ্ন উঠেছে, গোটা ঘটনা নিয়ে উত্তরপ্রদেশের মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বিমলা বাথান কেন চুপ করে রয়েছেন।
রঞ্জিত এক সময় বরাবাঁকি পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। বর্তমানে ওই পদে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী। একটি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, রঞ্জিতের বিরুদ্ধে ৪৪টি অপরাধের মামলা ঝুলছে।
প্রসঙ্গত, গণধর্ষিতার পরিচয় ট্যুইটারে প্রকাশ করায় জাতীয় মহিলা কমিশন ইতিমধ্যেই বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য, কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ, অভিনেত্রী স্বরা ভাস্করকে নোটিস পাঠিয়েছে।