কলকাতা:   বাঁশদ্রোণী থেকে এক মহিলার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। আজ ভোররাতে ঐন্দ্রিলা ঘোষ নামে ৩৯ বছরের ওই মহিলাকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এরপর এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্‍সকরা।  পুলিশ সূত্রে খবর, ডিভোর্স হওয়ার পর ওই মহিলা একজনের সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন। গত দু’বছর ধরে থাকছিলেন একসঙ্গে।  
ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট না মিললেও মহিলার মোবাইলে ভয়েস রেকর্ডিং মিলেছে বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। তাতে ওই মহিলা তাঁর মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী না করলেও তিনি যে ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন, তা বলে গিয়েছেন।পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মানসিক অবসাদ থেকেই ওই মহিলা আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।


উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে  নেতাজিনগরে ফ্ল্যাট থেকে এক তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল।  পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, বিশেষ বান্ধবীর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং মানসিক চাপের জেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন ওই  তরুণী।মঙ্গলবার গভীর রাতে নেতাজি নগরের একটি ফ্ল্যাট থেকে বছর ২৬-এর পূজা গায়েন নামে এক তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের দাবি, আদতে পূর্ব বর্ধমানের দেবীপুরের বাসিন্দা এই তরুণী, টালিগঞ্জে সহকারি চলচ্চিত্র পরিচালকের কাজ করতেন।মৃতের পরিবারের আরও দাবি, বেশ কিছুদিন ধরে এক টুম্পা রায় নামে বান্ধবীর সঙ্গে তাঁর বিশেষ সম্পর্ক ছিল। প্রত্যক্ষদর্শী আরও এক তরুণীর দাবি, মঙ্গলবার নেতাজিনগরের এই ফ্ল্যাটে মদ্যপান করছিলেন পূজা গায়েন ও টুম্পা রায়।রাত পৌনে ১২টার সময় হঠাত্ই দুজনের মধ্যে ঝগড়া বেধে যায়। অভিযোগ, তখন বেশ কয়েকটি ঘুমের ওষুধ খেয়ে নেন পূজা গায়েন।প্রত্যক্ষদর্শীর আরও দাবি, কোনওরকমে ওই তরুণীকে সুস্থ করে তোলার পর, তিনি বাকিদের ঘর থেকে বের করে দিয়ে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেন।  এরপর মিনিট পাঁচেক পর থেকে ঘরের ভিতর থেকে আর কোনও সাড়া শব্দ মিলছিল না। পরে দরজা ভেঙে তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর উদ্ধার করে বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, বান্ধবীর অত্যাধিক মানসিক চাপের কারণেই আত্মহত্যা করেছেন এই তরুণী। এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে নেতাজিনগর থানার পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে মৃতার বিশেষ বান্ধবীকে।