বাংলার পিছিয়ে পড়া, দুর্বল শ্রেণির ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ১২৫ মিলিয়ন ডলার সাহায্যের ভাবনা বিশ্বব্যাঙ্কের। তবে এই পাওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে Independent Verification Agency (IVA) গঠন করাতে হবে যারা Disbursement Linked Results (DLR) যাচাই করে দেখবে।


বিশ্বব্যাঙ্কের তরফে জানান হয়েছে "নারীর ক্ষমতায়ন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির" জন্য অর্থায়ন করতে চায় তারা। যেই অর্থ 'কন্যাশ্রী', 'রূপশ্রী', 'লক্ষ্মীর ভান্ডার', 'স্বাস্থ্য সাথী', 'বিধবা ভাতা' এবং 'বার্ধক্য ভাতা' -এর মতো রাজ্য সরকার চালু করা কিছু কল্যাণমূলক প্রকল্পে সাহায্য করবে। দুর্বল গোষ্ঠীকে সাহায্য করাই এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হতে চলেছে এমনটাই জানান হয়েছে। 


বিধবা এবং তফসিলি জাতি-উপজাতিদের জন্যও আলাদা ভাবনা রাখা হয়েছে। এর মাধ্যমে রাজ্য সরকারকে রাজ্য স্তরে একটি ইউনিফাইড ডেলিভারি সিস্টেমের জন্য পলিসি ফ্রেমওয়ার্ক এবং টুলস তৈরিতেও সাহায্য করবে। সামাজিক সুরক্ষা বিতরণ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতেও ব্যবহার করা যাবে এই অর্থ। তবে কতটা অগ্রগতি হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখবে ডিএলআই। 


অর্থ বিভাগের এক উচ্চপদস্ত আধিকারিকের কথায়, এটি সমাজকল্যাণমূলক স্কিমগুলিকে উৎসাহ জোগাবে। এই মহামারী পরিস্থিতিতে যখন দেশ অর্থনৈতিক মন্দায় ভুগছে তখন এটি রাজ্য সরকারকে তার সমাজকল্যাণ প্রকল্পগুলিকে আরও কার্যকরভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। 


গত বছরও গরিবদের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ভারতের জন্য বড় অঙ্কের আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল বিশ্ব ব্যাঙ্কের। ১০০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল। বিশ্ব ব্যাঙ্কের ভারতীয় প্রতিনিধি জুনেইদ আহমেদ জানিয়েছিলেন, সামাজিক দূরত্বের কারণে ঝিমিয়ে পড়েছে ভারতীয় অর্থনীতি। এই পরিস্থিতিতে গরিবদের বাঁচাতে গরিব কল্যাণ যোজনা প্রকল্পে জোর দিচ্ছে ভারত সরকার। সেই কারণেই এই আর্থিক প্যাকজে দেওয়ার সিদ্ধান্ত। বিশ্ব ব্যাঙ্ক সূত্রের খবর, কেন্দ্রের সমাজ কল্যাণ মূলক প্রকল্পগুলিতে সাহায্য করতেই এই অনুদান ঘোষণা হয়েছিল। একই বিষয় প্রযোজ্য হল বাংলার ক্ষেত্রেও।