হায়দরাবাদ : করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা ব্রেন টিউমারের রোগীদের ক্ষেত্রে অনেক বেশি। সেকারণে এই রোগীদের টিকাকরণে দেরি করতে নেই। বিশ্ব ব্রেন টিউমার দিবস উপলক্ষে সেই পরামর্শই দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।


তাঁদের মতে, এই সময় ম্যালিগন্যান্ট ব্রেন টিউমারের রোগীরা বেশি চিন্তার কারণ। কেমোথেরাপি চলায় এমনিতেই তাঁদের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা অনেক কমে যায়। তার ওপর ব্রেন টিউমার থাকার কারণে এই ধরনের রোগীরা অনেক দুর্বল হয়। ফলে এঁদের দেহে সহজেই কোভিড ভাইরাস আক্রমণ করতে পারে। চিকিৎসকরা বলছেন, এই রোগীরা ভাইরাসের কারণে অসুরক্ষিত হয়ে পড়েন। তাই ব্রেন টিউমারের রোগীদের টিকাকরণ নিয়ে অবহেলা করতে নেই। নতুবা ফল ভুগতে হবে রোগীর পরিবারকে।


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিড-১৯ ভাইরাস থেকে করোনার বিশাল পরিবারের বিস্তার। যা প্রথমে ফ্লু-এর মতো উপসর্গ থেকেই তৈরি হয়। পরবর্তীকালে তা শ্বাসযন্ত্রে প্রভাব ফেলে। এই থেকেই যাবতীয় সমস্যার সৃষ্টি হয়। ৬০ ঊর্ধ্বের ব্যক্তি বা গুরুতর রোগের শিকার এমনদের ক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর হতে পারে কোভিড ভাইরাস। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় এই ধরনের রোগী বা প্রবীণ ব্যক্তিদের ওপর সহজেই হামলা করতে পারে করোনা। দেখা যায়, সংক্রমণের পর আগের থেকে আরও জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয় এই ধরনের রোগীদের দেহে।


এই বিষয়ে কনটিনেন্টাল হসপিটালসের কলসালটেন্ট নিউরো সার্জন রাজশেখরা রেড্ডি কোন্ডা বলেন, ''যারা আগে থেকেই কোনও রোগে আক্রান্ত তাদের শরীরে করোনা আরও সমস্যা বাড়ায়। এই ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে যত শীঘ্র সম্ভব ভ্যাকসিনের ডোজ নেওয়াটা জরুরি।'' একই বক্তব্য অ্যাওয়্যার গ্লেনগেলস গ্লোবাল হসপিটালের নিউরো স্পাইন বিভাগের সিনিয়র কলসালটেন্ট কল্যাণ বোমাকান্তির। তিনি বলেন, ''করোনা ভাইরাসের ভ্যাকিসন নির্দিষ্টভাবে ব্রেন টিউমারের রোগীদের ওপর পরীক্ষা করা হয়নি। যদিও সব ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীকেই কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই ভ্যাকসিন নেওয়ার ফলে কোভিড ১৯ থেকে সুরক্ষা পাবেন রোগীরা।'' 


বিশ্ব ব্রেন টিউমার দিবস উপলক্ষে এই ধরনের রোগীদের তাড়াতাড়ি ভ্যাকসিন নেওয়ার কথা বলেছেন এসএলজি হসপিটালের কনসালটেন্ট নিউরো অ্যান্ড স্পাইন সার্জন রাঘবেন্দ্র এইচ। তিনি বলেন, ''মানব দেহে একটা নির্দিষ্ট পরিসর পর্যন্ত কাজ করে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা। ভ্যাকসিনের ডোজ মানুষকে অতিরিক্ত রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা দেয়। করোনার ভ্যাকসিন রেডিওথেরাপি, ইমিউনোথেরাপি ছাড়াও হরমোনাল থেরাপিতে দেওয়া যায়। যদিও কখন এই ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত তার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াটা বাধ্যতামূলক। কারণ থেরাপির কোন সময় ভ্যাকসিন দিলে রোগী সবথেকে বেশি সুফল পাবে, তা একমাত্র ডাক্তারই বলতে পারবেন।''