কলকাতা: বাংলাদেশের হিন্দুদের রক্ষায় এবার রাষ্ট্রসংঘের সাহায্য চাইল বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট (Bangladesh Sammilit Sanatani Jagaran Alliance )। সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে (Chinmay Krishna Das release) আজ বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে (World Human Rights Day 2024) নতুন কর্মসূচি ঘোষণা।


আগামীকাল চিন্ময় দাসের মুক্তি চেয়ে গীতা পাঠের আহ্বান মন্দিরে মন্দিরে


চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে প্ল্যাকার্ড হাতে, মুখে কালো কাপড় বেঁধে সোশাল মিডিয়ায় ছবি পোস্টের আর্জি। বাংলাদেশ সহ বিশ্বব্যাপী হিন্দুদের কাছে আর্জি বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের। আগামীকাল মন্দিরে মন্দিরে চিন্ময় দাসের মুক্তি চেয়ে গীতা পাঠের আহ্বান। মূলত গণতন্ত্র প্রহসনে পরিণত হয়েছে পদ্মাপারে। জামিন পাননি বাংলাদেশের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। মূলত, একমাস পিছিয়ে গিয়েছে ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিন-মামলার শুনানি।কেন আইনজীবীর ব্যবস্থা করতে পারল না বাংলাদেশ সরকার? বিনা বিচারে জেলে রাখারা চক্রান্ত? প্রশ্ন উঠছে। 


চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে জেলবন্দি করে রাখার জন্য বাংলাদেশের ন্যক্কারজনক ছক !


শেষবার শুনানির দিন তাঁর হয়ে সওয়াল করার জন্য় একজনও আইনজীবীও আদালতে আসতে পারেননি। বলা যেতে পারে ভয় দেখিয়ে আসতে দেওয়া হয়নি। এক আইনজীবী মৌলবাদীদের মারের জেরে হাসপাতালে মৃত্য়ুর সঙ্গে লড়াই করছেন। হামলা ও মামলার জেরে সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের বাকি ৫০ জন আইনজীবীও অনুপস্থিত ছিলেন। স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে জেলবন্দি করে রাখার জন্য বাংলাদেশের ন্যক্কারজনক ছক !


'এটাও জানানো হচ্ছে না যে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে' !


আইনজীবীর অভাবে হল না শুনানি, মেলেনি জামিন। শুনানি পিছিয়ে গিয়েছিল এক মাস।আশঙ্কা সত্যি হল, এমনই প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন গত সপ্তাহে কলকাতা ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস। তিনি আরও বলেছিলেন,'  আমরা এক এক মুহূর্ত ওনার জন্য চিন্তায় ছিলাম। আমরা এটাও দেখলাম যাঁরা দু'জন ব্রহ্মচারী, যাঁরা ওনাকে জেলে গিয়ে ওষুধ ও খাবার দিচ্ছিল জেলে, ওদেরকেও আটক করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে। এটাও জানানো হচ্ছে না যে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে।'


আরও পড়ুন, 'বাংলাদেশে প্রায় ৪০ বছর কাজ করেছি..', ইউনূসকে কী পরামর্শ এপারের নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ীর ?


এই পরিস্থিতিতে শেষ অবধি চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের আইনজীবীদের অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকার পক্ষ থেকে আদালতে সময় চাওয়া হয়। ১ মাস সময় মঞ্জুর করে আদালত। অর্থাৎ আরও ১ মাস বিনা বিচারে জেলে থাকতে হবে চিন্ময়কৃষ্ণকে।একজন সন্ন্য়াসীর সঙ্গে যখন বাংলাদেশের ইউনূস সরকার এই অমানবিক আচরণ করছে, তখন কী করছে মোদি সরকার? এই প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রের ওপর চাপ তৈরি করতে চাইছেন সাধু সন্তরা!


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।