ইরবিল (ইরাক): উত্তর ইরাকের (Iraq) ইরবিল (Erbil) শহরে মার্কিন দূতাবাসে (US Consulate) মিসাইল হামলা (Missile attack)। কুর্দিস (Kurdish) নিরাপত্তা বাহিনীর দাবি, ১২টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়া হয়। তবে মিসাইল হানায় ক্ষতিগ্রস্ত ইরাকি টেলিভিশন চ্যানেলের অফিস। ইরানের (Iran) দিক থেকে মিসাইল হামলা হয়েছে বলে দাবি ইরাকের। এই ঘটনায় হতাহতের খবর মেলেনি। 


কারা এই হামলা চালাল, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। কোনও দল এখনও পর্যন্ত এই হামলার দায়স্বীকার করেনি। মার্কিন বিদেশ দফতরের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘এই হামলা ভয়াবহ। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনও নাগরিক এই হামলায় আহত হননি। ইরবিলে মার্কিন দূতাবাসেরও কোনও ক্ষতি হয়নি।’


ইরাকের সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কুর্দিস্তান প্রদেশের রাজধানী ইরবিলে ১২টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। ইরাকের বাইরে থেকেই এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ছোড়া হয়। তবে ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ঠিক কোথায় আঘাত করেছে, সেটি এখনও জানা যায়নি।


ইরবিল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মোতায়েন থাকা মার্কিন সেনা জওয়ানরা এর আগেও আক্রমণের মুখে পড়েছেন। তাঁদের লক্ষ্য করে রকেট ও ড্রোন হামলা চালানো হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তখন দাবি করা হয়, ইরানের সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলি হামলা চালিয়েছে। তবে গত কয়েকমাসে এই ধরনের হামলা হয়নি। ফের এই হামলা চালানো হল।


এর আগে শেষবার ইরাকে শেষবার মার্কিন সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে ব্যালিস্টিক মিসাইল হামলা চালানো হয় ২০২০ সালের জানুয়ারিতে। এর কিছুদিন আগেই মার্কিন সেনা ইরানের সেনাবাহিনীর কমান্ডার কাসেম সুলেমানিকে হত্যা করে। এরই বদলা হিসেবে হামলা চালায় ইরান। এই হামলায় মার্কিন সেনাবাহিনীর কোনও জওয়ান নিহত হননি। তবে কয়েকজনের মাথায় আঘাত লাগে।


মার্কিন সেনাবাহিনীর উপস্থিতির জেরে ইরাক ও সিরিয়ায় প্রায়ই হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা দেখা যায়। এই দুই দেশেই একাধিকবার ইরানের মদতপুষ্ট শিয়া জঙ্গিগোষ্ঠী মার্কিন সেনা জওয়ানদের উপর হামলা চালায়। পাল্টা মার্কিন বিমানবাহিনী ইরানের উপর হামলা চালিয়েছে।