কারাকাস: ভেনেজুয়েলার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ মুদ্রাস্ফীতির ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া হয়ে গিয়েছে। এক কিলো চাল বিক্রি হচ্ছে ২৫ লক্ষ বলিভারে (ভেনেজুয়েলার মুদ্রা)। যা ভারতীয় মুদ্রা অনুসারে ৭০২ টাকা। এক কিলো আলুর দাম ২০ লক্ষ বলিভার (৫৬২ টাকা)। অন্যান্য সবজির দরও একইরকম চড়া। টম্যাটো ৫০ লক্ষ বলিভার (১,৪০৪ টাকা), গাজর ৩০ লক্ষ বলিভার (৮৪৩ টাকা), পনির ৭৫ লক্ষ বলিভার (২,১০৯ টাকা) কিলো। মাংস ৯৫ লক্ষ বলিভার (২,৬৭২ টাকা) কিলো দরে বিক্রি হচ্ছে। কফি ২৫ লক্ষ বলিভার (৭০২ টাকা)। রেস্তোরাঁয় খেতে গেলে আমিষ থালির জন্য দিতে হচ্ছে এক কোটি বলিভার (২,৮১১ টাকা)। খাবারের দাম দেখে যে কোনও মানুষেরই চোখ কপালে ওঠা স্বাভাবিক। তবে এই দামই দিতে বাধ্য হচ্ছেন লাতিন আমেরিকার এই দেশটির মানুষজন।

আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের আশঙ্কা, ভেনেজুয়েলায় অদূর ভবিষ্যতে মুদ্রাস্ফীতি কমার বদলে জিনিসপত্রের দাম ১০ লক্ষ শতাংশ বেড়ে যাবে। দেশটির অর্থনীতির এখন এমনই বেহাল দশা, ‘কে হবে কোটিপতি’-র মতো টেলিভিশন শো বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এক কোটি বলিভার এখন নেহাতই সামান্য অর্থে পরিণত হয়েছে। প্রতি ২৬ দিন অন্তর জিনিসপত্রের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। অবস্থা সামাল দিতে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো নতুন আর্থিক নীতি ঘোষণা করেছেন। নয়া মুদ্রা চালু করা হচ্ছে। এর ফলে জিনিসপত্রের দাম কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।