ওয়াশিংটন: ঢাকার দূতাবাস পাড়া গুলশনের অভিজাত রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার তদন্তে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) সহ মার্কিন আইন প্রনয়ণকারী এজেন্সিগুলিকে পাঠিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে সাহায্য করার প্রস্তাব দিল আমেরিকা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদকে ফোন করে অবিলম্বে মার্কিন এজেন্সিগুলিকে পাঠিয়ে ওয়াশিংটন তদন্তে সহায়তা দিতে চায় বলে জানান মার্কিন বিদেশ সচিব জন কেরি।

এদিকে গত শুক্রবারের নজিরবিহীন নৃশংস ঘটনার ব্যাপারে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও তাদের পরিচয় প্রকাশ করেননি আইজিপি একেএম শহিদুল হক। কোথায় তাদের রাখা হয়েছ, তাও জানাননি। তবে বলেন, একজন হাসপাতালে আছে, আরেকজন আছে হেফাজতে। দুজনেই সুস্থ নয়, শারীরিক পরিস্থিতির উন্নতি হলে তাদের জেরা করা হবে বলে জানান হক। হামলার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ সেনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, আক্রান্ত কাফে থেকে ঘটনার দিন জীবিত ধরা পড়েছে এক সন্ত্রাসবাদী। যদিও তার পরিচিতি জানানো হয়নি।

হামলাকারীদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির যোগসাজশ থাকতে পারে বলে জানান হক।



মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ফোনে সন্ত্রাসবাদীদের হাতে নিরীহ পণবন্দিদের নিহত হওয়ার ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন বিদেশ সচিব। গুলশনের হোলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলাকারী জঙ্গিরা ‘আমেরিকা, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে বিপদ’ বলেও উল্লেখ করেন কিরবি। বলেন, বিদেশ সচিব বাংলাদেশ সরকারকে সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক মাপকাঠি অনুসারে তদন্ত চালাতে উত্সাহ দিয়েছেন। পাশাপাশি এফবিআই সহ মার্কিন সংস্থাগুলির তরফে অবিলম্বে সহায়তা দেওয়ার কথাও বলেন। ছক কষে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানোর জন্য দোষীদের সাজা দিতে, ভবিষ্যতে হামলা রুখতে বাংলাদেশের প্রয়াসের প্রতি মার্কিন প্রশাসনের সমর্থনের কথা ফের জানিয়েছেন কেরি, এও বলেন কিরবি।

 

গুলশনের হোলি আর্টিজেন রেস্তোরাঁয় ৭ সশস্ত্র জঙ্গির হামলার দায় ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠী নিলেও বাংলাদেশের দাবি, ওরা নয়, তাদের দেশের মাটিতে বেড়ে ওঠা জঙ্গিরাই রয়েছে এর পিছনে। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের দিকেও আঙুল তুলেছে ঢাকা। সেদিনের হামলায় ২০ জন পণবন্দিকে হত্যা করে হামলাকারীরা। অধিকাংশেরই গলা কেটেছে হামলাকারীরা। সন্ত্রাসের বলি হয়েছে ২ পুলিশকর্মীও। তবে পাল্টা সেনা অভিযানে খতম হয় ৬ জঙ্গিও। ধরা পড়ে একজন।