মেক্সিকো সিটি: শক্তিশালী ভূমিকম্পে মেক্সিকোয় অন্ততপক্ষে ২৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের তালিকায় ২১ স্কুলপড়ুয়াও রয়েছে। আহতের সংখ্যা আনুমানিক হাজারের বেশি।


মার্কিন ভূতত্ত্ববিদেরা জানিয়েছেন ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল রিখটার স্কেলে ৭.১। মঙ্গলবার রাতের ওই ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল পিউবা প্রদেশের চিয়াউতলা দি তাপিয়ার সাত কিলোমিটার পশ্চিমে।


ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই ছিল যে তা একাধিক প্রদেশে অনুভূত হয়েছে। দেশের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর প্রধান লুই ফেলিপে পুয়েন্তে জানান, এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে ২৪৮ জন মারা গিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে ধ্বংসস্তুপে এখনও অনেকেই আটকে রয়েছেন বলে খবর।


রাজধানী মেক্সিকো সিটি ছাড়াও পুয়েবলা, মোরেলস, মেক্সিকো স্টেট এবং গুয়েরেরোতে বহু মানুষ মারা গিয়েছেন। শহরের মেয়র জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের জেরে রাজধানীর ৪৪টি জায়গায় ভেঙে পড়েছে একাধিক বহুতল।


সবচেয়ে করুণ দৃশ্য দেখা গিয়েছে শহরের দক্ষিণ প্রান্তে এনরিকে রেবাসম্যান প্রাথমিক স্কুলে। তিনতলা বাড়িটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই, ২১ পড়ুয়া ও ৫ শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। আরও বহু পড়ুয়া ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে রয়েছে।


উদ্ধারকার্যে নেমেছে কয়েক শ সেনা, পুলিশ, স্বেচ্ছাসেবক ও ডগ স্কোয়াড। মেক্সিকোর নৌসেনাও উদ্ধারে সহায়তা করছে। স্কুলের ধ্বংসস্তূপ থেকে ১১ জন পড়ুাকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।


মেক্সিকো সিটি ও সংলগ্ন শহরগুলির বহু ঘরবাড়ি কার্যত গুঁড়িয়ে গিয়েছে। মোরেলেসে ৫৪ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গিয়েছে। পুয়েবলা রাজ্যে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সরকারি সূত্রের খবর।


আতঙ্কিত বহু মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। কম্পনের পর ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। শহরে কমপক্ষে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৫০-৬০ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।


১৯৮৫ সালে ১৯ সেপ্টেম্বরের দিনই ভয়াবহ ভূমিকম্পে হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। ৩২ বছর পর সেই স্মৃতি ফিরল মেক্সিকোতে। দুই সপ্তাহ আগেই দেশের দক্ষিণে ভূমিকম্পে ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।